Thursday 2nd of May 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / খুলনার দশ খাদ্য গুদামের গমে পোকার আক্রমণ

খুলনার দশ খাদ্য গুদামের গমে পোকার আক্রমণ

Published at অক্টোবর ৭, ২০১৮

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): দেশের উপকূলবর্তী উপজেলা কয়রা থেকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশা পর্যন্ত দশটি সরকারি খাদ্য গুদামে ৩৪ হাজার মেট্রিক টন গমে নানা জাতের পোকা আক্রমণ করেছে। মজুদকৃত গম গত বছর মংলা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিমাসে কীটনাশক ব্যবহার করা হলেও প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে মজুদকৃত গম খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়বে। গম বিতরণের কোন খাত খুঁজে পাচ্ছে না খাদ্য অধিদপ্তর। এ সকল গুদামে মজুদকৃত গমের বাজার মূল্য প্রায় ৯৬ কোটি ৭৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

গত ছয় মাস ধরে প্রতিমাসে জেলা খাদ্য অফিস এমন তথ্য দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরকে জানাচ্ছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম ও উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকেও প্রতিমাসে এমন তথ্য জানানো হচ্ছে জেলা খাদ্য অফিসকে।

খুলনা খাদ্য অধিদপ্তরের পাঠানো জেলা খাদ্য অফিসের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের শেষ দিকে মংলা বন্দরের মাধ্যমে ৪০ হাজার মে. টন গম খুলনা জেলার দশটি গুদামে মজুদ করা হয়।

ইতমধ্যে সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, ফায়ার ব্রিগেড ও জেলখানায় ছয় হাজার মে. টন বিতরণ করা হয়েছে। দশ গুদামে রোববার (৭ অক্টোবর) পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৫৯ মে. টন মজুদ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি মজুদ বয়রাস্থ খুলনা কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে। এখানে ১৬ হাজার মে. টন এবং মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে ১২ হাজার মে. টন মজুদ রয়েছে। বাকি গম উপজেলা পর্যায়ের আট গ্রামে মজুদ। জেলা খাদ্য অফিসের সূত্র জানান, রাশিয়া থেকে আমদানি করা লাল রংয়ের গমকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রিমিথাইল ও এগ্রিফস নামের কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের ব্যবস্থাপক শেখ আনোয়ারুল করিম এ প্রতিবেদকে জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ না থাকায় মজুদকৃত গম বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মজুদকৃত গম গতবছর রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। মজুদকৃত গমে পোকার আক্রমণের বিষয়টি জেলা খাদ্য অফিসকে প্রতি মাসে জানানো হচ্ছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন প্রতিবেদককে জানান, সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকায় এবং কোনো খাত খুঁজে না পাওয়ায় মজুদকৃত গম বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ওএমএস এর মাধ্যমে প্রতিমাসে ১ হাজার মে. টন এবং বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ৬৭৫ মে. টন গম বিতরণ করা হচ্ছে। ৭৮ জন ডিলার প্রতিদিন ১ মে. টন আটা বিক্রি করতে পারে না। দীর্ঘদিন মজুদ থাকায় গমে পোকার আক্রমণ হয়েছে। জেলার দশ গুদামে ৩৪হাজার ৫৬৯ মে. টন আমদানিকৃত গম মজুদ রয়েছে। বড়বাজারের ব্যবসায়ী তৌহিদ হোসেন জানান, প্রতি কেজি গমের খুচরা মূল্য ২৮ টাকা।

This post has already been read 1677 times!