Friday 19th of April 2024
Home / অন্যান্য / জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কে আই বি’তে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কে আই বি’তে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

Published at আগস্ট ১২, ২০১৮

নিজস্ব সংবাদাতা: জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল রবিবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জনাব নারায়ন চন্দ্র চন্দ, এমপি বলেন- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, ইতিহাসের মহানায়ক যে মহামানবের সৃষ্টি না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। সে মহান নেতাকে ও তাঁর পরিবারকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ কাকডাকা ভোরে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তাদের বুলেটের আঘাতে হত্যাকরা হয়। বাংলার কৃষক ও কৃষিকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নজর ছিলো সবচেয়ে বেশি। বঙ্গবন্ধু ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা দেখতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি, মৎস্য ও প্রানী সম্পদ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, এমপি বলেন- ৪৩ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে বাঙ্গালী জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের। সেদিন ঘাতকরা ০৩টি বাড়িতে লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণ করেছিলো। সেদিন গৃহকর্মীসহ কেউ রেহাই পায়নি। ১৫ আগস্ট যাঁরা জীবন দিয়েছেন শ্রদ্ধাবনতচিত্তে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন- স্বাধীনতারপর যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ, গুদামে চাল নাই, ব্যাংকে টাকা নাই। বঙ্গবন্ধু বলেন- আমার মাটি আছে, মানুষ আছে, আমি বাংলাকে গড়বো। বঙ্গবন্ধু ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দেন। পাকিস্তানী আমলের কৃষি ঋণ মওকুফ করে দেন। এছাড়া কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রকমের গবেষণা প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন- রক্ত যদি স্বাধীনতার দাম হয়, তাহলে বাংলাদেশের দাম অনেক বেশি। বৈদেশিক চক্রান্তের ফলে একবার দেশে গম আমদানীতে কালক্ষেপন হওয়ায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে কেঁদে বললেন “ আমি সব লোকদের খাওয়াতে পারলামনা”। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। চাল উৎপাদনে বিশ্বে-তৃতীয়, মাছ উৎপাদনে বিশ্বে-তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে বিশ্বে -তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে। দেশে আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল বইছে।

আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় বলেন- যাঁর জন্ম না হলে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ হতো না, সেই মহান নেতা বাঙ্গালী জাতির অহংকার, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীকে স্বপরিবারে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এ হত্যাজজ্ঞ এক নেক্কার জনক ঘটনা। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছেন- কৃষক জাতীর মেরুদন্ড। বঙ্গবন্ধু কৃষি গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, কৃষি কর্মী, কৃষিবিদদের সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের বাজেটে কৃষিখাতে সর্বাধিক বরাদ্দ রেখেছিলেন।

This post has already been read 1593 times!