শুক্রবার , জুলাই ২৬ ২০২৪

বরিশালে বিএডিসি’র সেমিনার অনুষ্ঠিত

DSC03523নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বিএডিসি’র বরিশাল বিভাগ ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ‘সেচ সুবিধা সম্প্রসারণে প্রকল্পের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপি এক সেমিনার বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর-২০১৭) বরিশাল নগরীর ব্রির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শিবেন্দ্র নারায়ণ গোপের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান মো. নাসির-উজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব)। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ওমর আলী শেখ এবং বিএডিসির সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্র সেচ) মোঃ আবদুল জলিল (যুগ্ম সচিব)।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, নদী বেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চল সেচের অফুরন্ত ভান্ডার। তাই ভূ-পরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষির উৎপাদন বাড়াতে হবে। জমিতে সবসময় পানি না রেখে প্রয়োজন মতো সেচ দেয়া বাঞ্ছনীয়। কোনো অপচয় নয়, প্রতি ফোঁটা পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, খাল খননের পাশাপাশি অবশ্যই এর ব্যবস্থাপনার প্রতিও নজর দিতে হবে। আর এ সেবা পৌঁছাতে হবে কৃষকের দ্বারে দ্বারে। চেয়ারম্যান আরো বলেন, আগাম জোয়ার এবং জলাবদ্ধতা শস্যের অন্তরায়। তাই দ্রুত নিষ্কাশনের মাধ্যমে ফসল রক্ষা করা সম্ভব। আমরা কৃষির যা কিছুই করি, তা যেন হয় সমন্বিত প্রচেষ্টায়। তবেই আমরা সফলতা পাবো শতভাগ।
বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (সওকা) চঞ্চল চৌধুরী মিস্ত্রীর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, প্রধান প্রকৌশলী (সওকা) মোঃ লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলমগীর হোসেন, ডিএই, বরিশাল জেলার উপ-পরিচালক রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, পিরোজপুরের উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠির উপ-পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক, বিএডিসি’র যুগ্ম পরিচালক ড. মোঃ মিজানুর রহমান, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ছাব্বির হোসেন প্রমুখ। সেমিনারে কৃষকসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১শ’জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৩৩ উপজেলায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে। এর অংশ হিসেবে খাল পুনঃখনন এবং অন্যান্য সেচ অবকাঠামো নির্মাণের ফলে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ১১ হাজার ৫৮ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ হবে। ফলে এ এলাকায় প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ৩৮ হাজার ৭শ’ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বৃদ্ধি পাবে, সেই সাথে  শাক-সবজি ও ফলমূল বাড়বে প্রায় ২৭ হাজার ৬শ’ মেট্রিক টন।

This post has already been read 3424 times!

Check Also

বারিতে “প্রোগ্রামভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর গবেষণা উইং এর আয়োজনে (১০ জুলাই) ইনস্টিটিউটের …