মঙ্গলবার , ফেব্রুয়ারি ১৮ ২০২৫

ডিম কেন খাবেন?

eggsমো. খোরশেদ আলম জুয়েল : ডিম-ই একমাত্র খাদ্য যেটিতে সর্বোচ্চমানের প্রোটিন বিদ্যমান। ডিমের প্রোটিন আপনার মাংসপেশী গঠনে যেমন সহায়তা করবে তেমনি মাংসপেশী কমাতে বাধা দেবে। ভয় পাবেন না; মাংসপেশী বৃদ্ধি মানেই কিন্তু মুটিয়ে যাওয়া নয়। ডিমে বিদ্যমান কোলাইন কোষের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে, বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে। এটি ব্রেইন ও নার্ভের কার্যকলাপ সক্রিয় রাখা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে পুষ্টি যাতায়াত ব্যবস্থাকে তরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কোলাইন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং শিশুর জন্মগত ক্রটি সারাতে সাহায়তা করে। ডিমে বিদ্যমান ফলিক এসিড গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা বাচ্চাদের নার্ভ সম্পর্কিত সমস্যা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

একজন মানুষের সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল থাকে মাত্র একটি ডিমে যা আপনাকে কর্মদ্যোম রাখতে সহায়তা করবে। ডিমে বিদ্যমান রিবোফ্লাবিন সমস্ত শরীরের কোষে শক্তি উৎপন্ন করতে সহায়তা করে। এতে বিদ্যমান প্যানটোথেনিক এসিড খাদ্য ভাঙ্গন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে শরীরের কোষগুলোকে শক্তি উৎপন্ন করতে সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ডিমে বিদ্যমান ফসফরাস স্বাস্থ্যকর হাড়, দাঁত, সেল মেমব্রেন গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। লুটিন ও জিক্সাথিন নামক দুটি এন্টি অক্সিডেন্ট ডিমে পাওয়া যা বয়সজনিত অন্ধত্ব রোধ করতে কাজ করে। ডিমে বিদ্যমান সেলেনিয়াম এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কোষের ক্ষয়রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও ডিমে বিদ্যমান ভিটামিন ‘এ’ চামড়ার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষভাবে কার্যকর।

অনেকের ধারণা ডিম খেলে মুটিয়ে যাবেন। কিন্তু একটি ডিমের কুসুমে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে সেটি খুবই নগণ্য। ডিম খেলে মুটিয়ে যাওয়ার চান্সতো নেই-ই বরং অন্যভাবে যদি চিন্তা করেন তাহলে বরং এটি মোটা হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। কারণ একটি ডিম আপনাকে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা পাওয়া থেকে নিবৃত করবে। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা দেখা যায়, সকালের নাস্তায় একটিমাত্র ডিম দীর্ঘসময় পেট ভরার অনুভূতি দিতে সহায়তা করে। ডিমের প্রোটিন অত্যন্ত উন্নতমানের হওয়াতে এমনটি হয়। তাই আসুন নিজেকে স্বাস্থ্যবান রাখতে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাই।

This post has already been read 5538 times!

Check Also

বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের জনকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ!

বিশেষ প্রতিনিধি: ষাটের দশকে, যখন বাংলাদেশ পুষ্টিহীনতার করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত, তখন জনাব ইকরাম হোসেন হয়ে …