Thursday 25th of April 2024
Home / ফসল / কেনা হচ্ছে সর্বনিম্ন দরে ১১ লাখ টন নন ইউরিয়া সার

কেনা হচ্ছে সর্বনিম্ন দরে ১১ লাখ টন নন ইউরিয়া সার

Published at জুন ২৪, ২০১৭

non ureaএগ্রিনিউজ২৪.কম রিপোর্ট : আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ১০ লাখ ৯৫ হাজার টন নন-ইউরিয়া (টিএসপি, এমওপি, ডিএপি এবং পাউডার এমওপি) সার কিনছে সরকার। ব্যবসায়িদের তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সর্বনিম্ন দরে এবার সার সংগ্রহ করতে পারছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে কার্যাদেশ প্রধান ও এলসি খোলার প্রক্রিয়া।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সার আমদানির লক্ষ্যে গত ১৫ মে সার ব্যসসায়িদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোয়িশেনকে (বিএফএ) চিঠি দিয়ে প্রাইস কোটেশনের মাধ্যমে টিএসপি, এমওপি, ডিএপি ও পাউডার এমওএপি সারের আমদানিমূল্য আহ্বান করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে মোট ১০২টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে, যার মধ্য থেকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে ৪১ প্রতিষ্ঠান সার আমদানির জন্য নির্বাচিত হয়।

এ ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে এবার সার আমদানি হচ্ছে। ‘দর’ বিশ্লেষণে যার সুবিধা পাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ‘প্রাইস কোটেশন’ ঘোষণার কারণে ব্যবসায়িরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন যার ফলে অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম দামে সার মিলছে’।

জানা যায়, ৪ লাখ ৫০ হাজার টন ডিএপি আমদানির জন্য ৪৬ টি প্রতিষ্ঠান মূল্য তালিকা জমা দেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ১০ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য প্রতিটন ৩৪০ ইউএস ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৯ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত)। ২ লাখ ৭৫ হাজার টন টিএসপি আমদানির জন্য ১৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ১৬ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য প্রতিটন ৩২৪ ইউএসডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫৫ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত)। ৩ লাখ ৫০ হাজার টন এমওপি আমদানির জন্য ৩২ প্রতিষ্ঠান মূল্য তালিকা জমা দেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ১২ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য ২৪৫ ইউএসডলার থেকে সর্বোচ্চ ২৫৪.৪০ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দর পৌঁছানো পর্যন্ত)। এছাড়া ২০ হাজার টন পাউডার এমওএপি আমদানির জন্য ৫ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ৩ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত হয়। যার সর্বনিম্ন মূল্য প্রতিটন ৩৩৯ ইউএস ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ ডলার (চট্টগ্রাম বন্দর পৌঁছানো পর্যন্ত)।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব বদিউল আলম জানান, সার আমদানির লক্ষ্যে গত ৫ জুন কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। আর ২১ জুন এলসি খোলার অনুমতি পেয়েছে ব্যবসায়িরা। এবার কম মূল্যে সার প্রাপ্তির বিশ্লেষণ তুলে ধরে আন্তর্জাতিকভাবে সারের মার্কেট প্রাইস মনিটরিং সংস্থা argusmedia.com এর  ১৫ মে (সর্বশেষ) প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে এখন ডিএপি সারের মূল্য ৩৪৭ থেকে ৩৬২ ইউএস ডলার। আর প্রাইস কোটেশন অনুযায়ি ৩৪০ থেকে ৩৪৯ ডলারের মধ্য সার পাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও গত ১২ মে আমদানি করেছে ৩৫৭ থেকে ৩৬১.৮৫ ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন এমওপি সারের মূল্য ২৫৫ থেকে ২৭০ ইউএস ডলার। আর আমদানি করা হচ্ছে ২৪৫ থেকে ৩৫৪.৪০ ডলারে। অথচ গত ৯ মে থাইল্যান্ডও আমদানি করেছে ২৫৩ থেকে ২৫৮ ডলারে।

This post has already been read 3905 times!