Friday , July 4 2025

মাশরুম চাষ সম্প্রসারণে মাদারীপুরে আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আসাদুল্লাহ (ফরিদপুর প্রতিনিধি) : মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প” এর আওতায় মাশরুমের উচ্চফলনশীল ও জনপ্রিয় জাতসমূহের চাষ সম্প্রসারণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে আঞ্চলিক কর্মশালা মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৭মে) সকাল ১০ টায় মাদারীপুরের হর্টিকালচার সেন্টারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) ফ‌রিদপুর আঞ্চ‌লিক কার্যালয়ের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – কৃষি সম্প্রসারণ অ‌ধিদপ্তর, হর্টিকালচার উইং এর প‌রিচালক, এস এম সোহরাব উদ্দিন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন – কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফ‌রিদপুর আঞ্চ‌লিক কার্যালয়ের অতি‌রিক্ত প‌রিচালক, মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন-  মাশরুম চাষে কোনো আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না। চাষের জমি না থাকলেও বসত ঘরের পাশে অব্যবহৃত জায়গা ও ঘরের বারান্দা ব্যবহার করে অধিক পরিমাণ মাশরুম উৎপাদন করা সম্ভব।  একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও জনপ্রিয়। মাশরুম একটি নিরাপদ সবজি, কারণ এতে সাধারণত কোনো রোগবালাই হয় না এবং কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। মাশরুম চাষের জন্য নিরাপদ পানি ব্যবহার করা জরুরি। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ মাশরুম খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পুষ্টি অর্জন, আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ‌স্থিত ছিলেন- ডিএই, গোপালগঞ্জের উপপরিচালক, আ. কাদের সরদার এবং ডিএই মাদারিপুরের উপপরিচালক, ড. সন্তোষ চন্দ্র চন্দ।

উপজেলা পর্যায়ে প্রেজেন্টেশন করেন-গোপালগঞ্জ সদর, উপজেলার কৃষি অফিসার, মাফরোজা আক্তার এবং ফরিদপুর সদর, উপজেলার কৃষি অফিসার, মো. আনোয়ার হোসেন।

হর্টিকালচার সেন্টার থেকে প্রেজেন্টশন করেন ফরিদপুর হর্টিকালচারের উপপরিচালক,  মোহাম্মদ বিন-ইয়ামিন।

জেলা পর্যায়ে প্রেজেন্টশন করেন- ডিএই মাদারীপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) জীবাংশু দাস এবং রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলার, উপজেলা কৃষি অফিসার, মো. রফিকুল ইসলাম।

প্রকল্প কার্যক্রম উপস্থাপন করেন- প্রকল্প পরিচালক, ড. মোছা: আখতার জাহান কাঁকন। মাশরুম চাষীদের মাঝে উন্মুক্ত আলোচনায় তাদের সমস্যা এবং বিভিন্ন দাবি উপস্থাপনা করেন।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিসসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ, কৃষি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন অংশগ্রহণ করেন।

This post has already been read 2841 times!

Check Also

ধান চাষে কৃষকের পাশে ব্রি, ২৪ ঘণ্টার কলসেন্টার সেবা চালু

গাজীপুর সংবাদদাতা: ধান উৎপাদনে সার ব্যবস্থাপনা, আগাছা দমন, বালাই ব্যবস্থাপনা কিংবা সেচ সংক্রান্ত যাবতীয় পরামর্শ …