মো. খোরশেদ আলম জুয়েল: আগামী বছরের মার্চ মাসে আসর বসবে বাংলাদেশের পোলট্রি সংশ্লিষ্টদের সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘১১তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো ও সেমিনার-২০১৯’। উক্ত মেগা আয়োজনের জন্য নেয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি। তবে এবারের আয়োজনে থাকছে কিছুটা ব্যাতিক্রম। বিগত বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো ও সেমিনারটি ওয়াল্ডর্স পোলট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন -বাংলাদেশ শাখা (WPSA-BB) এককভাবে আয়োজন করলেও এবারই প্রথম এর সাথে যুক্ত হবে বিপিআইসিসি (BPICC) বা বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল। অর্থাৎ ওয়াপসা-বিবি ও বিপিআইসিসি যৌথভাবে ‘১১তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো ও সেমিনার-২০১৯’ আয়োজন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বছর পোলট্রি শো ও সেমিনার একই সময়ে ও ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম…
Author: Jewel 007
কাজী কামাল হোসেন (নওগাঁ): নওগাঁ জেলায় ক্রমেই আউশ ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ছে। সরকারীভাবে আউশ চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ প্রনোদনা দেয়ার কারণেই আউশ ধানের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েন স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এক সময় অতিরিক্ত ধান উৎপাদনের এই নওগাঁ জেলায় আউশ ধানের আবাদ ছিল খুবই জনপ্রিয়। সকালের খাবার তালিকায় বাড়িতে বাড়িতে আউশ চালের পান্থাভাত ছিল খুবই লোভনীয়। বলা যায় তা ছিলো আমাদের সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু মাঝখানে এই আউশ ধানের চাষ প্রায় বন্ধ হয়েই পড়েছিলো। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রনোদনা দেয়ার ফলে আউশের আবাদ করতে কৃষকদের উৎসাহ বেড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ’র উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক জানিয়েছেন,…
মাহফুজুর রহমান: কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের পাটই প্রধান অর্থকরী আর দ্বিতীয় ফসল। তদুপরি বাংলাদেশের সর্বত্র কমবেশি পাট উৎপন্ন হয় বিধায় পাট চাষ বাংলাদেশের কৃষির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই দেশের প্রায় সবাই বৎসরে কিছু কিছু পাট ঘরে তুলে নেয়। পাট দিয়ে তৈরি হয় আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সর্বত্র ব্যবহারযোগ্য পাটসুতা ও রশি। এ সব পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারের পর প্রকৃতিতে ফেলে দিলে সামান্য উষ্ণতা ও আর্দ্রতায় মাটিতে পঁচে সবুজ সার হয় ও এর উর্বরতা বাড়ায়। তবে পাট মাটিতে কোন পার্শ্বক্রিয়া বা সমস্যার সৃষ্টি করে না। অর্থাৎ পাট ও পাটজাতদ্রব্য প্রকৃতির বন্ধু। এককালে এদেশে অর্ধেকাংশের বেশি চাষীরা পাট চাষে জড়িয়ে ছিল।কিন্তু বর্তমানে পাট নিয়ে চাষীরা অনীহা…
ইফরান আল রাফি (পবিপ্রবি প্রতিনিধি) : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সার্ক ট্যুরে ভারত যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিবছরের ন্যায় কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য উক্ত ট্যুরের আয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উক্ত ট্যুরটি সফলভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে রয়েছে ৫৩ জন শিক্ষার্থী এবং সার্বিক তত্ত্বাবধায়নের জন্য রয়েছেন অত্র অনুষদের ৩ জন শিক্ষকমন্ডলী। গ্রুপ দুটি যথাক্রমে ২৬ আগস্ট এবং ২৭ আগস্ট বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে। ১৫ দিনের এই ট্যুরে ভারতের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্থান কলকাতা, জয়পুর, আগ্রা, সিমলা, মানানি, দিল্লী, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসমূহ এবং…
মো. খোরশেদ আলম জুয়েল : জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল ভোগকারী দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশের নাম। বিশেষজ্ঞগণের মতে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা সামলাতে হবে বাংলাদেশকে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে কৃষি সেক্টরে। শস্যজাতীয় ফসল, মাছ ও মুরগি উৎপাদনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। তবে কৃষির এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত ও সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে পোলট্রি শিল্প ইতোমধ্যে নিজেদের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হেেছ। প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ও অর্ধ কোটি লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের শিল্পটির উদ্যোক্তারা স্বপ্ন দেখছেন সবকিছু ঠিক…
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহীর ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সিলভার জুবলী পূর্তী উৎসব রাজশাহীর একটি চাইনিজ রেস্তোরাতে গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টায় আনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় স্কুলের ৯২ ব্যাচের প্রায় শতাধিক প্রাক্তন ছাত্র ও তাদের পরিবার এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৯২ ব্যাচের স্পাউসবৃন্দ। সভায় স্বাগত বক্তব্য ও সভা সঞ্চালন করেন ডা রাকিবুযযামান চোধুরী সৈকত। অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. এম. হেমায়াতুল ইসলাম আরিফ, ডা. আহমেদ মাসিহা, জামিল আরুপ, ডা. ফায়সাল কাদের শাহ চোধুরী, ইমন, ইঞ্জিনিয়ার আসরাফুল ইসলাম আরিফ, এয়াসির আরাফাত তুসার, মো. জিয়াউর রাহমান দোলন, প্রফেসর ডা. আতিকুল ইসলাম শুভ, মো. মতিউল ইসলাম, মারুফ জামিল, রপকেন, বাবুল, নাযমুল ইসলাম কাজল, ইবনে…
ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি মানুষের জীবন রক্ষার জন্য বেশি করে তালগাছের বীজরোপণ করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার সকল ওয়াপদা রাস্তার দু’পাশে তালবীজ রোপণ করা হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ শুক্রবার সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের ওয়াপদা রাস্তার দু’পাশে তালবীজ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পরিত্যাক্ত ও খালি জায়গায় তালবীজ লাগাতে হবে। মাছের ঘেরের পাশেও এই বীজরোপণ করা যায়। এতে করে মাছের কোন ক্ষতি হবে না। এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত…
মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর): বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আন্দোলন চাঁদপুরের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার পশু কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার আহবান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করা হয়। “বর্জ্য যার -ব্যবস্থাপণা তার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্যাপক গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোটা শহরবাসীর মাঝে প্রেরণা মূলক প্রচার অভিযান চালানো হয়। মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) বিকালে শহরের বায়তুল আমিন মসজিদের মুসল্লিদের মাঝে লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে শুরু হয় এ কার্যক্রম । পরে শহরের বিভিন্ন মার্কেট, রাস্তা সহ পাড়া মহল্লায় লিফলেট বিতরন করা হয়। সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা কমিটির সভাপতি ৮ নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর নাসির চোকদার, প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আশিক খানের পরিচালনায়, প্রধান…
মাহফুজুর রহমান: ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। রূপালি ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। এটা সবার জানা আছে। গোলাকার এই পৃথিবীতে যেখানেই বাংলা ভাষাভাষী বসবাস করছে, সেখানেই ইলিশের চাহিদা রয়েছে। ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে অপেক্ষায় থাকে সবাই। যদিও বাজার ভরে আছে নানা প্রজাতির কত শত রকমের মাছ। তবুও মুখের স্বাদ মনের চাওয়া একমাত্র ইলিশ। সেজন্যে ইলিশের বাড়ি শুধু চাঁদপুরে সীমাবদ্ধ নয়। ইলিশের বাড়ি বিশ্বজুড়ে। এখন ইলিশের ভরা মৌসুমে খোদ রাজধানীতেই ঝাঁকাভর্তি ইলিশ ফেরি করে বিক্রি হয়। অমৌসুমেও বিক্রি হয়। বাজারে ইলিশ সহজপ্রাপ্য। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের জালে তেমন ইলিশ ধরা না পড়লেও ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর নদীতে। ওইসব মাছ ট্রলার ও ইঞ্জিনচালিত…
ডক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম: কোরবানির আগে পশুকে প্রয়োজনীয় বিশ্রামে রাখুন। আর দীর্ঘ ভ্রমণের ফলে ক্লান্ত পশু জবাই করা হলে চামড়া ছড়াতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। চামড়ার অনেক অংশ কেটে ছিড়ে যায়।জবাইয়ের ১২ ঘণ্টা আগ থেকে পানি ব্যতিত ব্যতিত অন্য খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। এতে করে পাকস্থলীতে অনুজীবের চাপ কম হয় যার ফলে খুব সহজেই চামড়া ছড়ানো যায়। পশুকে কোন ভাবেই ভয় ভীতি প্রদর্শন অথবা মারা যাবে না। এতে করে পশু জবাইয়ের পর রক্তপাত বাধাগ্রস্ত হয়। মাংসে রক্তের পরিমাণ বেশি হলে মাংশের মান কমে যায়।পশুকে ভালোভাবে পরিষ্কার করা খুব জরুরি। শরীর এবং খসে পড়া পশমগুলো সাবান অথবা ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার…