এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বিগত কয়েক বছর ধরে কাঁচা চামড়ার দাম কমতে কমতে এ বছর প্রায় তলানিতে এসে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে সরকার চামড়ার উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উক্ত তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত মূল্যে কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে না। এ বিষয়ে চামড়াশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে বাণিজ্য…
Author: Jewel 007
কোরবানি দাতা নিজের কোরবানির পশু নিজেই জবেহ করবেন, যদি তিনি ভালভাবে জবেহ করতে পারেন। কেননা রাসূলুল্লাহ সা. নিজে জবেহ করেছেন। আর জবেহ করা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের একটি মাধ্যম। তাই প্রত্যেকের নিজের কোরবানি নিজে জবেহ করার চেষ্টা করা উচিত। ইমাম বোখারি (রহ.) বলেছেন: “সাহাবি আবু মুসা আশআরী রা. নিজের মেয়েদের নির্দেশ দিয়েছেন তারা যেন নিজ হাতে নিজেদের কোরবানির পশু জবেহ করেন।“ [১] তার এ নির্দেশ দ্বারা প্রমাণিত হয় মেয়েরা কোরবানির পশু জবেহ করতে পারেন। তবে কোরবানি পশু জবেহ করার দায়িত্ব অন্যকে অর্পণ করা জায়েজ আছে। কেননা সহিহ মুসলিমের হাদিসে এসেছে-“রাসূলুল্লাহ সা. তেষট্টিটি কোরবানির পশু নিজ হাতে জবেহ করে বাকিগুলো জবেহ করার দায়িত্ব আলী রা.-কে অর্পণ করেছেন।” [২]…
মো. খোরশেদ আলম (জুয়েল): কিছু অসাধু আমদানিকারকের জন্য হুমকিতে পড়েছে দেশের আমিষ যোগানের অন্যতম উৎস মৎস্য খাত। বিশেষ করে দেশের মৎস্য চাষিদের ভরা এ মৌসুমে তারা পড়েছেন গুণগত মানের খাদ্য সংকটে। ব্যাপারটি এখন এমন পর্যায়ে যেয়ে ঠেকেছে যে, ‘পাপ গোটা কয়েকের কিন্তু শাস্তি সকলের’। ঘটনার সূত্রপাত মূলত গুটিকয়েক অসাধু আমদানিকারক ফিস ফিড নামে এমবিএম আমদানির কারণে। মৎস্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তাদের ‘ফিস ফিড’ নামে এসআরও নেয়া হলেও তারা এতদিন মূলত নিয়ে এসেছে নিষিদ্ধ মিট অ্যান্ড বোন মিল বা সংক্ষেপে যেটিকে এমবিএম বলা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে আটক হওয়া এসব পণ্যের বেশ কয়েকটি চালান ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। ফলে নড়েচড়ে…
মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি) : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নওমুসলিম শিক্ষার্থী মো. আবু বকর সিদ্দিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বর্তমানে তিনি ক্যাম্পাসে নিরাপদে চলাফেরা ও সুষ্ঠুভাবে পড়াশোনা চালানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন। সূত্রে জানা যায়, নওমুসলিম মো. আবু বকর সিদ্দিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২য় বর্ষ এবং শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। প্রায় ছয় বছর আগে তিনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ধর্মান্তরিত হন। তার পূর্বের নাম ছিল বাসুদেব চন্দ্র দাস। কিছুদিন আগে ধর্মান্তরিত হওয়ার খবর তার পরিবারের লোকজন জানতে পারে। গত শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তার বাবা, চাচা মাইক্রোবাস নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে…
মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি): ডেঙ্গু ভাইরাসের সিরোটাইপ নির্ণয়ের প্রযুক্তি উদ্ভাবন। ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসের সিরোটাইপ নির্ণয়ের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি মলিকুলার পদ্ধতির (মাল্টিপেন্ডক্স আরটি-পিসিআর) উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র দুই ঘন্টায় ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সিরোটাইপসহ চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও সিরোটাইপ সঠিক ভাবে নির্ণয় করা যাবে। বুধবার (৭ আগষ্ট) সকাল ১০টার দিকে মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। ডেঙ্গু মশাবাহিত (স্ত্রী এডিস মশা) একটি ভাইরাস রোগ যার চারটি সিরোটাইপ রয়েছে (ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪)। বাংলাদেশে এই জ্বরের ভাইরাস ১৯৬৪ সালে সর্ব প্রথম সনাক্ত হলেও…
ঢাকা সংবাদদাতা: আমাদের দানাদার খাদ্য শস্য উৎপাদন দিনে দিনে বাড়ছে কিন্তু সে অনুপাতে এর মূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা। আমাদেরকে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে যেতে হবে। কারণ দিনে দিনে মানুষের খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন হচ্ছে। এছাড়াও কৃষিকে আধুনিকায়ন করতে হলে এক্ষেত্রে এর যান্ত্রিকীকরণ প্রধান ও প্রথম কাজ এর সাথে প্রক্রিয়াজাত রপ্তানি সম গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কৃষির উন্নয়নে সর্বদাই সচেষ্ট। কৃষিযন্ত্রের ব্যাপারে তিনি বলেন, মূল্য বেশী সেটা কোনো ব্যাপার নয়, মূল হচেছ মেশিন এর সার্ভিস। বুধবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি তাঁর অফিসকক্ষে এসিআইসহ একাধিক ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠককালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম. পি এসব কথা বলেন।…
নিরাপদ পোল্ট্রি পালন ও হিটস্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পোল্ট্রি খামারিদের কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং আনোয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আনোয়ার সিমেন্ট শীট লিঃ। গত ৪ আগস্ট রবিবার মতিঝিলে অবস্থিত আনোয়ার গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের চীফ মার্কেটিং অফিসার একেএম জাবেদ এবং বিপিআইসিসি’র সচিব দেবাশিস নাগ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার গ্রুপের ডিরেক্টর, সেলস এন্ড মার্কেটিং, হাফিজুল আদিথ ও জেনারেল ম্যানেজার কাঞ্চন সাহা, আনোয়ার সিমেন্ট শীট লি. এর চীফ কনসালট্যান্ট ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক…
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: অনেক মা আধুনিকতা ও ফ্যাশনের নামে শিশুকে বুকের দুধ বাদ দিয়ে গুড়ো দুধ দিয়ে থাকেন। আর শিশুকে গুড়ো দুধ খাওয়ালে তার পরিনাম ভয়াবহ। কারণ, গুঁড়ো দুধের আমদানি, উৎপাদন ও মেয়াদোর্ত্তীনের বিষয়গুলি এখনও দেশে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। সে কারণে, শিশুকে টিনের বা কৌটার গুঁড়ো দুধ প্রদান পরিহার করতে হবে। অন্যদিকে বুকের দুধের কারনে একটি শিশুর সাথে মায়ের বন্ধন সুদৃঢ হয়। শিশুর পুষ্টি-অপুষ্টি, শারিরীক গঠন ও বৃদ্ধির বিষয়টি মায়ের বুকের দুধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং স্তন্যদান না করানোর ফলে মায়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দেশে মাতৃদুগ্ধ দানের হার বৃদ্ধি না পাওয়ার অন্যতম মাতৃদুদগ্ধ দানের…
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: “শিশুর যথাযথ পুষ্টি, গঠন এবং মায়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মাতৃদুগ্ধদান একটি অতুলনীয় পন্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৯০% মায়েদের দুগ্ধদানের লক্ষ্য নির্ধারন করেছে। সার্বিক পুষ্টি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করলেও স্তন্যদানকারী মায়ের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে কম। ১৯৯৪ সালে এর হার ছিল ৪৬% যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৪ শতাংশে এবং ২০১৪ সালে এসে তা হ্রাস পেয়ে হয় ৫৫ শতাংশ। ২০১৮ সাল নাগাদ এই অনুপাত আর বাড়েনি।” চট্টগ্রামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’১৯ উদযাপন উলক্ষে র্যালী ও ভ্রাম্যমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন আয়োজকরা। সারা বিশ্বব্যাপী শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো উৎসাহিত করতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১-৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপনের…
মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। ইলিশের কথা আসলে একসাথে আসে চাঁদপুরের কথা। ইলিশ আর চাঁদপুর যেন একে অপরের পরিপূরক। তবে একথা সত্যি হলেও, অপ্রিয় সত্যি হলো এবার প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়লেও দাম একেবারেই কমছে না। সাধারণ ক্রেতা, বিশেষত চাঁদপুরের মানুষেরই ধরাছোঁয়ায় বাহিরে থেকে যাচ্ছে ইলিশের বাজার মূল্য। ঠিক এমন মূল্যে ক্রেতামহল একেবারে হতাশ। যার ফলে, ইলিশ আহরণকৃত জেলা ও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ ইলিশ ক্রয় করতে পারছে না। স্থানীয়ভাবে মানুষ ইলিশ থেকে বঞ্চিত হলে ও বিভিন্ন জেলায় ঠিকই প্রতিদিন ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় ভাবে ইলিশের মূল্য বেশি কিন্তু রপ্তানির ক্ষেত্রে কম কেন? নাকি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন,…