বৃহস্পতিবার , জানুয়ারি ২৩ ২০২৫

পোল্ট্রি শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কাজ করে যাবে- ডিএলএস ডিজি

এগ্রিনিউজ২৪.কম: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেছেন, পোল্ট্রি শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কাজ করে যাবে। তিনি বলেন- পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ খাতের যেমন অপার সম্ভাবনা আছে তেমনি অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।  অপুষ্টি দূর করতে হবে, সবার জন্য সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ ও মাংসের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। “প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আন্তরিক সেবা ও খামারি-উদ্যোক্তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিগত বছরগুলোতে ডিম-মুরগি-গবাদি পশুর উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতকে আজকের অবস্থানে আনতে প্রত্যেকের ভ‚মিকা রয়েছে। আশাকরি সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের যৌথ এ প্রচেষ্টা আগামীর বাংলাদেশ ও মেধাবি জাতি গঠনে সহায়ক হবে।” চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ ঠিক রাখা এবং মূল্য সহনীয় রাখতে পোল্ট্রি উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা চান ড. আবু সুফিয়ান।

বুধবার (০১ জানুয়ারি) “বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল” (বিপিআইসিসি) -এর নেতৃবৃন্দ  প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে অভিনন্দন ও ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ এ সময় নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা’র (ওয়াপসা-বিবি) সভাপতি মসিউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনিমেল হেলথ কোম্পানীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) এর সভাপতি সায়েম উল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আফতাব আলম; ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফিআব) -এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আহসানুজ্জামান ও কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ খসরু; ওয়াপসা-বিবি’র সাধারণ সম্পাদক ডা. বিপ্লব কুমার প্রামাণিক ও কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান (ফয়েজ); ব্রিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) -এর সাধারণ সম্পাদক শাহ্ ফাহাদ হাবীব ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়া, নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারির কনসালট্যান্ট এ.ডি.এম. নুরুল মোস্তফা কায়সার এবং বিপিআইসিসি’র যোগাযোগ ও মিডিয়া উপদেষ্টা মো. সাজ্জাদ হোসেন।

শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় পোল্ট্রি শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন বিপিআইসিসি নেতৃবৃন্দ। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নবনিযুক্ত মহাপরিচালকের সহযোগিতা চান তাঁরা।

মসিউর রহমান বলেন- উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, ভারসাম্যহীন বাজার ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, রোগ-জীবানুর সংক্রমণ ইত্যাদির কারণে ডিম-মুরগির উৎপাদনকারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিগত বছরে- ডিম ও মুরগির উৎপাদনকারি খামারি, একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারি ব্রিডার্স ইন্ডাষ্ট্রি, মৎস্য ও পশুখাদ্য উৎপাদনকারি ফিড ইন্ডাষ্ট্রি, ওষুধ ও কাঁচামাল সরবরাহকারিসহ পোল্ট্রি শিল্পের প্রায় প্রতিটি খাত লোকসান করেছে। জনাব মসিউর বলেন- প্রান্তিক খামারিরা ঝরে পড়ছে, অসংখ্য খামার বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন খামারি ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং সে কারণেই শিল্পের সাথে সরকারের- বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে।

মহাপরিচালক কে উদ্দেশ্য করে সায়েম উল হক বলেন, “আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় এ খাতের অধিকতর উন্নতি হবে বলে আমরা আশাবাদি”।

মোহাম্মদ আফতাব আলম বলেন, এনবিআর সহ সরকারের আরও কিছু দপ্তরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত এনওসি’কে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হয় না। কাজেই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

নব নিযুক্ত মহাপরিচালক কে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশনের কোর্টপিন পরিয়ে দেন মসিউর রহমান এবং বিপ্লব প্রামাণিক।

This post has already been read 6169 times!

Check Also

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার সাথে ইউকেবিসিসিআই এর প্রতিনিধি দলের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এঁর সাথে ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অব কমার্স …