মঙ্গলবার , অক্টোবর ৮ ২০২৪

পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্যবাসীর পক্ষে সারা বাংলাদেশের মানুষ নিবেদিত রয়েছেন। পাহাড়ের মানুষের কিছু হলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাসহ সমগ্র বাংলাদেশের জনতা সোচ্চার হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সৌন্দয্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম, তাই পার্বত্য মানুষের কল্যাণে মানবিকতার মূল্যবোধ সকলেরই জেগে ওঠে। এটা পার্বত্যবাসীদের জন্য অত্যন্ত সুখের ও আনন্দের।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অফিস কক্ষে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মিজ হেলেন লাফেভ, চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (Miz Helen LaFave, Charge d’Affaires)- এর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়ন সংক্রান্ত ও দ্বি-পাক্ষিক বিষয়ের উপর আলোচনায় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেছেন, সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এদেশটা আমার ও বাংলাদেশটা আমার প্রিয় দেশ। এখানে ভেদাভেদ বলতে কিছু নাই। আমরা সবাই সমান ও সমতার ভিত্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছি।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অর্থ দিয়ে ও নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উপদেষ্টা বলেন, আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে চাই। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায়, ইকো ট্যুরিজম, এবং বাংলাদেশিদের আধুনিক ও সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, সকলের মধ্যে কনফিডেন্স গড়ে তোলাই হলো আমাদের প্রধান কাজ। সকলের মনে ইকুইটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ বলেন, আমাদের শিক্ষার প্রতি বেশি নজর দিতে হবে। ডিজিটালাইজড ফর্মে পার্বত্য অঞ্চলের সকল ছাত্রছাত্রীদের আনা হবে। তিনি বলেন, যেহেতু জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুত পার্বত্য দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছানো এ মুহূর্তে সম্ভব নয়, তাই আমরা সেখানে আপাতত সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুত প্রদানের ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনাকালে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স, মিজ হেলেন লাফেভ, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মো. মুশফিকুর রহমান, ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা এরিক গিলান, মানবাধিকার কর্মকর্তা অ্যান ডটারলি, ইউএসএইড মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান, প্রটোকল সুপারভাইজার নিশাত তাসনিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 13729 times!

Check Also

চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি’র চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল, অনিয়ম তদন্ত ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের অন্তবর্তীকালীন সরকার যাত্রা শুরু করলে পদত্যাগী আওয়ামী সরকারের সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ …