Monday 17th of June 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / রাজশাহীতে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আঞ্চলিক কর্মশালা

রাজশাহীতে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আঞ্চলিক কর্মশালা

Published at মে ২৬, ২০২৪

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী):  তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত শনিবার (২৫ মে) রাজশাহীর সীমান্ত অবকাশের সেমিনার রুমে “তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি” প্রকল্পের আওতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী এর আয়োজনে দিনব্যাপী এ আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মো: শামসুদ্দিন মিঞা। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. মোতালেব হোসেন ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মুহম্মদ আরশেদ আলী চৌধুরী।

প্রধান অতিথি বলেন,  আমাদের কে তেলজাতীয় ফসলের আরো সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদাপূরণ ও আমদানি ব্যয় হ্রাস করতে হবে। যদিও বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুসারে প্রতি ইঞ্চি মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ও প্রণোদনার ফলে দেশে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরও আমাদের দেশে ভোজ্যতেলের বেশিরভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়।

তিনি আরো বলেন, শস্য বিন্যাসের সময় বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী ধান ও তেল ফসলের আধুনিক জাত অন্তর্ভুক্ত করে এবং ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি না কমিয়েও অতিরিক্ত ফসল হিসাবে তেল ফসল (সরিষা, তিল, সূর্যমুখি, চীনাবাদাম, সয়াবিন)  এগুলোর আবাদ বাড়িয়ে এ চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। এছাড়াও রিলে পদ্ধতিতে সরিষা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশি করে প্রচারণা বাড়িয়ে তেল জাতীয় ফসলের চাষ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস হতে তেল জাতীয় ফসলের ওপর উপস্থাপনা করা হয়।

কর্মশালায় রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, সরেজমিন গবেষণা, ধান গবেষণা, এসআরডিআই, ফল গবেষণা, গম ও ভূট্টা গবেষণা, বিএডিসি, বিএমডিএ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কৃষক, সাংবাদিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 192 times!