Saturday 27th of April 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / সিকৃবিতে প্রোটিন দিবস পালিত

সিকৃবিতে প্রোটিন দিবস পালিত

Published at ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪

সিলেট সংবাদদাতা: স্বাস্থ্যবান জাতিগঠনে প্রোটিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথচ আমাদের দেশের শতকরা ৫০ ভাগ মানুষ প্রতিদিন প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমান প্রোটিন গ্রহণ করছে, পাশাপাশি শতকরা ৭০ভাগ প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করছে। একজন মানুষের সুষ্ঠুভাবে জীবনধারণের জন্য বছরে কমপক্ষে ১০৪টি ডিম খাওয়া উচিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রোটিন ও ভিটামিন কম এবং কার্বোহাইড্রেট বেশি গ্রহণের ফলে হার্টের সমস্যা, ডায়বেটিসের সমস্যাসহ নানাবিধ রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে মানুষের সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)  ও ইউএসএসসি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। “প্রতিদিন প্রোটিন খাই, শক্তি ও পুষ্টি পাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রোটিন দিবস পালিত হয়েছে।

২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রোটিন দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা: মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। পরবর্তীতে ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলন কক্ষে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ. এস. এম. মাহবুবের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা: মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা: মো. মারুফ হাসান, বিপিআইসিসি এর সচিব দেবাশীষ নাগ, প্রোটিন দিবস উদযাপন কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. এম রাশেদ হাসনাত প্রমুখ। প্রাণী পুষ্টি বিভাগের সহকারী প্রফেসর ডা: জান্নাতুল মাওয়া মুমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসূফ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণী পুষ্টি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. জসিম উদ্দিন।

This post has already been read 453 times!