শুক্রবার , অক্টোবর ৪ ২০২৪

মাদারীপুরে কৃষির পার্টনার প্রোগ্রামের কর্মশালায় কৃষি সচিব

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): মাদারীপুরে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রোগ্রামের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় মাদারীপুরের হর্টিকালচার সেন্টারে বরিশালের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএইর মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এবং ডিএইর সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী।

বরিশালের হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. অলিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান, পার্টনার প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম কোঅডিনেটর মো. মিজানুর রহমান, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র কুন্ডু, ডিএই পিরোজপুরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার, পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাজী শিরিন আক্তার জাহান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী চঞ্চল কুমার মিস্ত্রী, প্রোগ্রামের অতিরিক্ত প্রোগ্রাম পরিচালক ড. গৌড় গোবিন্দ দাস, বিএআরসি পার্টের এজেন্সি প্রোগ্রাম পরিচালক মো. আশ্রাফুল আলম, বিএডিসি পার্টের এজেন্সি প্রোগ্রাম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, ডিএই বরিশালের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম, চরফ্যাশন উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, পটুয়াখালী সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গৌরনদীর কৃষক মজিবুর রহমান বিপ্লব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাবিনা ইয়াছমিন, প্রোগ্রামের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার মোসা. ফাহিমা হকসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২০০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

৪৯৫ টি উপজেলায় কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ করাই এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে দেশের ৩ লাখ হেক্টর জমিতে ফল ও সবজি, ২ লাখ হেক্টর জমিতে জলবায়ুসহিষ্ণু ধানের জাত, ২ লাখ হেক্টর জমিতে অন্য দানাশস্য ফসল, ডালফসল, তেলফসল ও উদ্যান ফসল আবাদের এলাকা বাড়বে। একইসাথে ১ লাখ হেক্টর জমিতে উন্নত আধুনিক সেচ এলাকাও বৃদ্ধি হবে। পাশাপাশি ২০ হাজার তরুন ও নারী উদ্যেক্তা তৈরি করা হবে। প্রোগ্রামে আরো থাকছে কৃষি সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার, গবেষণা ও উন্নয়ন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও সেচ যন্ত্রপাতি, মোবাইল ক্রপ ক্লিনিক, কৃষিকাজে অনুদান, বিপণন ব্যবস্থার মানউন্নয়ন, কৃষক এবং কৃষি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ। এছাড়াও দেশের ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩ শত ২১ জন কৃষকের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। এই প্রোগ্রামের অনুমোদিত পাক্কলিত ব্যয় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, বিশ^ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ইফাদের আর্থিক সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৭টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন হবে। এর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে ৮টি প্রতিষ্ঠান। ৫ বছর মেয়াদী এই কার্যক্রমের শেষ সময় ৩০ জুন ২০২৮ খ্রিস্টাব্দ।

This post has already been read 1731 times!

Check Also

রাজশাহীতে “মানসম্মত বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ এবং সমন্বিত বাজার মনিটরিং” শীর্ষক সেমিনার

রাজশাহী সংবাদদাতা: বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর আয়োজনে “মানসম্মত বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ বিতরণ এবং …