Saturday 20th of April 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকের সব ধান কেটে ফেলা উচিত -খাদ্যমন্ত্রী

১৫ দিনের মধ্যে কৃষকের সব ধান কেটে ফেলা উচিত -খাদ্যমন্ত্রী

Published at মে ৭, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকের সব ধান কেটে ফেলা উচিত। কেননা এরইমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কৃষকদের এ বিষয়ে সচতেন করতে ভূমিকা রাখত পারে। তিনি বলেন, সরকার চায় কৃষক তার ফসলের ভালো দাম পাক। কৃষক ভালো দাম পেলে আমরা খুশি। সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।

রবিবার (৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৩ ভার্চুয়াল উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না। ‘চালের মান ঠিক রেখে, সঠিকভাবে শতভাগ সংগ্রহ সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, অনেকে মনে করেছিল দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, অনেক কামাই করবে। তাই আমন মৌসুমে তারা মজুদ করেছিল। কিন্তু তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।

তিনি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার ৪ লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কৃষক যদি ধানের দাম ঠিকভাবে না পায় তাহলে সরকার প্রয়োজনে ৭-৮ লাখ টন ধান কিনবে। আর চাল কেনা হবে সাড়ে ১২ লাখ টন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকার এবার বেশি দামে ধান কিনছে। কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনায় এটা করা হয়েছে। কৃষকরা ধান দিতে এসে যেন কষ্ট না পায়। ধান দিতে এসে যেন ফেরত না যায় সেটা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারিদের নিশ্চিত করতে হবে। তবে ধানের আদ্রতার পরিমাণ ১৪ ভাগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না। আর্দ্রতা ঠিক থাকলে ধান ফেরত দেওয়া যাবে না।

গত মৌসুমে যে সকল মিল মালিক চাল দেওয়ার জন্য চুক্তি করেনি তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফিট লিস্টে নাম না পাঠানোর জন্য খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা চুক্তি করে সরকারকে সহায়তা করেছে তারা সরকারের সুনজরে আছে।যারা আংশিক শর্ত পূরণ করেছ তারাও এ বছর চুক্তি করতে পারবে। একইসঙ্গে কেউ যেন অবৈধ মজুত করতে না পারে— এ বিষয়েও কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় বোরো ধান,চাল ও গমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ ২০২৩ মৌসুমে ৪.০০ লাখ টন ধান, ১২.৫০ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ১ লাখ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আভ্যন্তরীণ সংগ্রহ আজ ৭মে থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত চলবে।

প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল  ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা। ২০২২ সালে ধান-চালের দাম ছিল যথাক্রমে  ধান ২৭ টাকা,সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং গম ২৮ টাকা।

This post has already been read 964 times!