Thursday 25th of April 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / করোনা কালীন মহামারীতওে বাংলার কৃষকেরাই মাঠে থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছিল – কৃষি সচিব

করোনা কালীন মহামারীতওে বাংলার কৃষকেরাই মাঠে থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছিল – কৃষি সচিব

Published at মার্চ ৪, ২০২৩

রাজশাহী সংবাদদাতা : শনিবার (০৪ মার্চ) রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার মুরারীপুর হাই স্কুল মাঠে ক্লাইমেট স্মার্ট কনজারভেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ বারি গম-৩৩ জাতের উপর কৃষক-কৃষাণী মাঠ দিবস ২০২২-২৩ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াহিদা আক্তার, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গম ও ভ’ট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: গোলাম ফারুক এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডক্টর শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ।

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার তাঁর বক্তব্যে বলেন, করোনা কালীন মহামারীতওে বাংলার কৃষকেরাই মাঠে থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে কৃষি আজ এগিয়ে চলছে। অন্যান্য দেশে যখন খাদ্যের জন্য হিমশিম খাচ্ছে, তখন আমাদের দেশে দানাদার খাদ্যের কোন সমস্যা নাই। সরকার রাসায়নিক সারের জন্য অনেক ভতুর্কি দেয়। এর একমাত্র কারণ কৃষকদের যেন কষ্ট না হয় এবং ফসল উৎপাদন যেন ঠিক থাকে। কৃষকদের উচিত সারের অপচয় না করে সুষম মাত্রায় জমিতে সার ব্যবহার করা। সচিব আরো বলেন, সরিষার তেল উৎপাদন এবং ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে সয়াবিনের তেল আমদানি নির্ভরতা কমে আসে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এর জন্য অনেক কিছু করছে। এজন্য শতকারা প্রায় ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে কৃষিযন্ত্র সরবরাহ করছেন।

সভাপতি ডক্টর শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, আগে বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষ খেতে পেত না আর এখন দেশে ১৬ কোটির ওপর জনসংখ্যা তারপরও খাদ্যের কোন সমস্যা নাই। তিনি বারি গম-৩৩ জাতটির বিষয়ে বশিদ আলোচনা করেন এবং গম আবাদে উৎসাহী হওয়ার জন্য কৃষকদরে আহবান জানান। তিনি বলেন, বারি গম-৩৩-এর উচ্চতা মাঝারী এবং কুশির সংখ্যা তিন থেকে পাঁচটি। জাতটি গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী। জাতটি স্বল্প মেয়াদী এবং তাপ সহনশীল হওয়ায় দেরিতে বপনের জন্য খুবই উপযোগী।

অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সদস্য, জনপ্রতিনিধি, কৃষক-কৃষণী, কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণ সহ প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

মাঠ দিবসের পূর্বে তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালাদীঘি গ্রামে সমলয় চাষাবাদের মাঠ পরিদর্শন করেন। সেথানে তিনি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং উন্নত জাত ও প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিহারীপাড়া গ্রামে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে স্থাপিত ভ’ট্টার প্রদর্শনী এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ক্রপ জোনিং প্রকল্পের আওতায় মাটির উর্বরতা মান ভিত্তিক পেঁয়াজের সার সুপারিশ মাঠ পর্যায়ে যাচায়ের প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন।

This post has already been read 1005 times!