Tuesday , August 26 2025

সিলেট সদরে বারি হাইব্রিড টমেটো-৮ এর মাঠ দিবস

মো. জুলফিকার আলী (সিলেট):  বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বীজ বিপণন) সিলেট অঞ্চল এর আয়োজনে“বিএডিসি’র সবজি বীজ বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে হাইব্রিড সবজি বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিতরণ কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প” এর বাস্তবায়নে বুধবার (০১ মার্চ) সিলেট সদর খাদিমনগর ইউনিয়নের ফরিংউরা গ্রামে বারি হাইব্রিড টোমেটো-৮ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এ মাঠ দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো- হাইব্রিড বারি টমেটো-৮ জাত পরিচিতি , জীবনকাল ও চাষাবাদ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা।

উক্ত মাঠ দিবসে কৃষিবিদ প্রদীপ চন্দ্র দে, মহাব্যবস্থাপক (বীজ), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ঢাকা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ঢাকা। তিনি বক্তব্যে বলেন কৃষক পর্যায়ে হাইব্রিড জাত সম্প্রসারণ করার জন্য বিএডিসি কর্তৃক বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনীর স্থাপনের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, “এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে”মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা বাস্তবায়নে সিলেট অঞ্চলে পতিত জমিতে সবজি ও তেল জাতীজ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৭ টি একযোগে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ।

কৃষিবিদ কবিরুল হাসান, প্রকল্প পরিচারক বারি হাইব্রিড টমেটো-৮ এর জাত বৈশিষ্ট তুলে ধরে বক্তব্যে বলেন-   উচ্চ তাপমাত্রায় ফুল ও ফল ধারণে সক্ষম। আকর্ষনীয় লাল বর্ণ বিশিষ্ট ত্বক এবং শাস হরমোন প্রয়োগ ছাড়াই গ্রীষ্মকালে চাষাবাদ করা যায় । ফল বেশ মাংশল গাছপ্রতি ফলন ৪০-৪৫টি। ফলন : উৎপাদন (সেচ সহ) হেক্টরপ্রতি ৩৫-৪০ টন হয়। টমেটো ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল, খেতেও সুস্বাদু ও ভেষজ গুণসমৃদ্ধ টমেটোতে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। দৈনিক একটি করে টমেটো খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৬০ ভাগ কমে যায়। অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব বলে উপস্থিত কৃষক-কষাণীদের জাতটি সম্প্রসারণ করার জন্য আহবান জানান।

কৃষিবিদ পরিতোষ চন্দ্র পাল, সিনিয়র সহকারী পরিচালক,বীজ উৎপাদন খামার  বিএডিসি , সিলেট এর সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন- কৃষিবিদ মো.মোশাররফ হোসেন খান, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল,   সিলেট; কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান,আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, সিলেট; কৃষিবিদ কবিরুল হাসান, প্রকল্প পরিচারক ; ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, সিলেট; কৃষিবিদ ড. ইব্রিহিম খলিল, যুগ্ম পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা), সিলেট অঞ্চল, সিলেট; কৃষিবিদ সুপ্রিয় পাল, উপপরিচালক (বীজ বিতরণ বিভাগ), বিএডিসি, সিলেট; কৃষিবিদ ফাহমিদা অক্তার, অঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট।

মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক, গণ্যমান্য ব্যাক্তিও গণমাধ্যমের সংাবাদিকসহ প্রায় শতাধিক উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 4348 times!

Check Also

সিলেটে শস্য নিবিড়তা বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে – অতিরিক্ত কৃষি সচিব

মো. জুলফিকার আলী (সিলেট) : “সিলেট অঞ্চলে শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি করতে হবে এবং আমদানি নির্ভরতা …