Thursday , September 18 2025

‘লজেন্স প্রেজেন্টস এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন ২’ এর পর্দা নামলো

বাকৃবি সংবাদদাতা: ” বিজ্ঞানময় কৃষি, সমৃদ্ধিময় আগামী ” শীর্ষক স্লোগান নিয়ে ‘ এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন ২’ শুরু হয়। প্রায় ৩৩ টি ইন্সটিটিউট থেকে প্রায় ১৬০০ জন অংশ নেয় এবারের সিজনে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) – বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে ফাইনাল রাউন্ডে ৮ টি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা করে প্রায় ৮০ জন এবং সেখান থেকে প্রত্যেকে ক্যাটাগরিতে ৩ জন বিজয়ী,  সেরা ৩ জন ভলান্টিয়ার,  সেরা ৪ জন সংগঠক সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

“বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড ” আয়োজিত এবারের আয়োজনটির মূল লক্ষ্যই ছিল কৃষিকে আরও টেকসই এবং উন্নত করতে কৃষি বিষয়ক শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক ও এই বিষয়ে আগ্ৰহী করে তোলা।

উল্লেখ্য এবারের অলিম্পিয়াডে ছিল ৮ টি ক্যাটাগরি- এগ্রিকালচার, ফিশারিজ, এনিম্যাল প্রডাকশন, এগ্রিবিজনেস এন্ড এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিকস, ফুড এন্ড নিউট্রিশন, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিকস, এগ্রিকালচারাল ইনোভেশন এন্ড টেকনোলজি, এনিম্যাল হেলথ এন্ড বায়োসিকিউরিটি।

প্রথম ধাপে বিশ মিনিটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কুইজ শেষে প্রশ্নত্তোর পর্বের আয়োজন করা যেখানে সেরা তিনটি প্রশ্ন বাছাই করা হয়। এ সময় এগ্রিকালচার, এগ্রিকালচারাল ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যানিমেল প্রোডাকশন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স, অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড বায়োসিকিউরিটি, ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, এগ্রিবিজনেস অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স এবং ফিশারিজসহ মোট আটটি ক্যাটাগরির ওপরে পুরষ্কার দেওয়া হয়। প্রতি ক্যাটাগরিতে তিনজন করে মোট ২৪ জনকে এবং সেরা তিনজন প্রশ্নকর্তাকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরষ্কার হিসেবে সার্টিফিকেট, মেডেল, বই ও গিফট বক্স দেওয়া হয়।

এ সময় বেস্ট ক্যাম্পাস হিসেবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি), শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরষ্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও বেস্ট ভলান্টিয়ার হিসেবে তিনজন এবং বেস্ট অর্গানাইজার হিসেবে ৪জনকে পুরষ্কার দেওয়া হয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এম এ রহিম, ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম,  ইয়ুথ ইনফ্লুয়েন্সার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মাসুদা খান।

এ সময় ড. এম এ রহিম বলেন, শিক্ষার্থীরা এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে যত বেশি সম্পৃক্ত থাকবে তাদের দক্ষতা তত বাড়বে। এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াডের মতো এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটি আমাদেরকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। বর্তমানে আমাদের ১০ হাজারের বেশি জার্মপ্লাজম আছে। আমাদের উদ্ভাবিত জাতগুলো বাউ কুল, বাউ পেয়ারা নামেই বহির্বিশ্বে পরিচিত। আমাদের দেওয়া নামেই ফলগুলো চাষ হচ্ছে।

বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড কর্তৃক সফল এই আয়োজনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক – মো: আতিকুর রহমান, তার সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পুরো আয়োজনটি।

এই ইভেন্টকে সফল করতে সহযোগিতায় রয়েছেন ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (গিফট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান সংঘ (ক্লাব), বিজ্ঞানচিন্তা (ম্যাগাজিন), নাটাই (গিফট), চলতি ঘটনা (ম্যাগাজিন), রেসকো বিস্কুট এন্ড ব্রেড ফ্যাক্টরি (স্ন্যাক্স), ফ্রেশ, জিল ক্যাফে (বেভারেজ), রেডিও ধ্বনি, কালারস এফ এম, অধিকার নিউজ, নেক্সাস টিভি (ব্রডকাস্ট), অন্যধারা ( গিফট), দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (প্রিন্ট),  রাইজিং বিডি (নিউজ), এগ্রি নিউজ ২৪( নিউজ), এগ্রি লাইফ ২৪ (নিউজ), গ্রীণ ইকো ট্রাভেলস এন্ড রিসোর্ট (ট্রাভেল), ওয়েব হোস্ট বিডি(আইটি), বাংলাদেশ পোল্ট্রি  এন্ড ফিশ (ম্যাগাজিন), ক্যাম্পাসিয়ান (সোশাল মিডিয়া) ,  কৃষি জাগরণ (সোশাল মিডিয়া) ইত্যাদি।

This post has already been read 4332 times!

Check Also

WVPA-BB Organizes Landmark 3-Minute Thesis Competition in Dhaka

First-ever academic showcase of its kind in Bangladesh’s livestock sector receives overwhelming response from youth …