Saturday 27th of April 2024
Home / পোলট্রি / পোলট্রিতে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে ‘সিরাপ স্টিল’

পোলট্রিতে এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে ‘সিরাপ স্টিল’

Published at ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩

মো. খোরশেদ আলম জুয়েল: মানুষের আয় বাড়ার সাথে বাড়ে খাদ্যের বৈচিত্রতা এবং সেই সাথে বাড়ে সচেতনতা। ভোক্তার এই সচেতনতা তখনই ফলদায়ক হয়, যখন সেই খাদ্যের উৎপাদকগণ সচেতন থাকেন। প্রান্তিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের উৎপাদকগণের মাঝে যদি এই ‘সচেতনতা’বৃদ্ধি পায় তবে তো সোনায় সোহাগা।

পোলট্রিতে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বিগত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয়। অনেকটা এইভাবে বলা যায়- ‘টক অব দ্যা পোলট্রি’। আশার ব্যাপার হচ্ছে, কয়েক বছর ধরে দেশের প্রান্তিক থেকে মাঝারি ও শিল্প পর্যায়ের পোলট্রি খামারিরা এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার থেকে সম্পূর্ণভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তারা এন্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে প্রোবায়োটিক-প্রিবায়োটিক সহ নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন। এন্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার থেকে তারা বের হওয়ার চেষ্টা করছেন এবং সেক্ষেত্রে অনেকেই সফল হচ্ছেন। এগ্রিনিউজ২৪.কম এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজনের সাথে এবং তাদের মধ্য থেকে দু’জনের গল্প আসুন জেনে নিই তাহলে-

গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে অবস্থিত রাফিন পোলট্রি, স্বত্ত্বাধিকারী মুস্তাফিজুর রহমান ভুট্টু। প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি পোলট্রি ব্যবসার সাথে জড়িত এবং একজন সফল খামারি। ভুট্টুর খামারে বর্তমানে ৩৫ হাজার লেয়ার মুরগি রয়েছে। তার খামারে যাতে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার করতে না হয়, কয়েক বছর ধরে সেইদিকে  তিনি পূর্ণাঙ্গ মনোনিবেশ করেছেন। ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম’ এই সূত্র মেনে মুরগির ইমিউনিটি বিল্ড আপ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি তিনি এখন বেশি সজাগ। বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি এ কাজে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে এভোন এনিমেল হেলথ কর্তৃক বাজারজাতকৃত সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ নামে একটি প্রোডাক্ট, জানান ভুট্টু। কীভাবে সেটি হলো, আসুন তার মুখেই শুনি..

ভুট্টু এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে আমি পোলট্রি পালন বা ব্যবসার সাথে জড়িত। মুরগির ভাইরাসজনিত রোগগুলোর বিরুদ্ধে আমি নিজেও এক সময় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতাম। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করছি ভাইরাসজনিত রোগের বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিক কোন কাজই করছে না। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন টাকার অপচয় হচ্ছিলো, তেমনি মুরগির স্বাস্থ্য আরো বেশি খারাপ হতে থাকতো। একটা সময় আমি খামারে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিই। আমার প্র্যাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ভাইরাসজনিত রোগের বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিক প্রায় অকার্যকর। এসব কারণে এবং আমার দেখাদেখি এলাকার অন্যান্য ফার্মগুলোতেও এখন এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার নাই বললেই চলে।

“এভোন এনিমেল হেলথ -এর সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ নামক প্রোডাক্টটি আমি বেশ কয়েক বছর ধরে ব্যবহার করছি। এটির রেজাল্ট প্রথমদিকে আমি তেমনটা বুঝতে পারিনি। কারণ, এটি মুরগির ইমিউনিটি বিল্ড আপ করে, যা খালি চোখে দ্রুত বোঝা সম্ভব না। একটি পর্যায়ে আমি বুঝতে পারি সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ ব্যবহারের পর থেকে ফ্লকে থাকা মুরগির রোগবালাই কম হচ্ছে। ফলে আমাকে অপ্রয়োজনীয় ‍ওষুধ বা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হচ্ছে না। এই রিলেটড কয়েকটি কোম্পানির অন্যান্য প্রোডাক্টও আমি ব্যবহার করেছি; কিন্তু আমার কাছে এখনো সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’-ই বেস্ট মনে হয়েছে। তাই শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত ‘সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ ব্যবহার করে আসছি” -বলেন মুস্তাফিজুর রহমান ভুট্টু।

নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার চৈতান্য গ্রামের খামারি মো. সারোয়ার হোসেন। তিনিও একজন লেয়ার খামারি এবং মোট মুরগির সংখ্যা বর্তমানে ৫ হাজার। তিনি বলেন, আমিতো ‘সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ ব্যবহার করি ভ্যাকসিনের আগে ১ দিন এবং পরের ২ দিন। বিগত ৩ ব্যাচ ধরে আমি প্রোডাক্টটি ব্যবহার করছি। আমার এখানে এটির ফলাফল খুব ভালো পেয়েছি। ইমিউনিটি বিল্ড আপ করার জন্য এর আগে আমি অন্য প্রোডাক্ট ব্যবহার করে দেখেছি, কিন্তু এ পর্যন্ত সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ কেই সেরা মনে হয়েছে। এভোন এর বেস্ট প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ অন্যতম একটি প্রোডাক্ট বলে আমি মনে করি।

বিষয়টি নিয়ে দেশের বাজারে সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান এভোন এনিমেল হেলথ এর টেকনিক্যাল ম্যানেজার ডা. বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস এর সাথে এগ্রিনিউজ২৪.কম প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন,  সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ হচ্ছে এমন একটি প্রোডাক্ট যা প্রাণীর ইমিউনিটি বিল্ড আপ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মূলত এটি একটি ইমিউন মডিউলেটর। ধরুন, সম্প্রতি করোনা মহামারিতে বিশ্বের অনেকে্ই আক্রান্ত হয়েছেন, আবার ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা সত্ত্বেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকার কারণে অনেকেই আক্রান্ত হননি। মানুষের মতো মুরগিসহ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও বিষয়টি অনেকটা সেরকম। অর্থাৎ মুরগির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত ভালো থাকবে, রোগবালাই তার তত কম হবে। সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ এর মূল কাজই হলো মুরগির নিজস্ব ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে, মুরগি ক্ষতিকর ভাইরাস/ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে নিজস্ব ইমিউনিটির মাধ্যমে প্রতিহত করতে পারে।

ডা. বিকাশ বলেন, মূলত রানীক্ষেত, লো প্যাথেজোনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, ইনফেকশাস ব্রংকাইটিস, ম্যারেক্স ও গামবোরো নামক ৫টি রোগের ভাইরাসের বিরুদ্ধে সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ -এর কার্যকারিতা মাঠপর্যায়ে প্রমানিত। মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষাতে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, লো প্যাথেজোনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ দারুনভাবে কার্যকর। সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ব্যবহারের ফলে খামারের মুরগিগুলোকে অন্তত টিকিয়ে রাখা যায়। সাধারণত ভ্যাকসিনেশনের আগে-পরে আমরা সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ ব্যবহার করার পরামর্শ দেই। কারণ, ভ্যাকসিন টাইটার লেভেল উপরে তুলবে; কিন্তু ভ্যাকসিন ইনটেকটা ঠিক হলো কি না, সেটি নিশ্চিত করবে সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’

‘আরেকটি বিষয় হলো- মুরগির অসম মৃত্যুহার এবং অনেক সময় লেয়ার মুরগীতে দেখা যায় হঠাৎ করে ডিম উৎপাদন কমে যায়। হঠাৎ করে অসম মৃত্যুহার এবং ডিম উৎপাদন কমে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’-যোগ করেন ডা. বিকাশ।

তিনি জানান, সারা বিশ্বের এনিমেল হেলথ সেক্টরে ওলমিক্স (Olmix) একমাত্র কোম্পানি যারা এলজি বা সামুদ্রিক শৈবাল কে এক্সট্র্যাক্ট করতে পেরেছে। যদিও বলা হয় -এলজি বা সামুদ্রিক শৈবাল নতুন কিছু নয়, বহু পুরনো একটি কনসেপ্ট। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সবচেয়ে নতুন বা লেটেস্ট সামুদ্রিক শৈবাল যেটি সেটির বয়স ১৫০ মিলিয়ন বছর। বিশ্বের বহু এনিমেল হেলথ কোম্পানি অনেক আগে থেকেই এলজি ব্যবহার করে আসছে ঠিকই। কিন্তু তারা কেউ এখনো পর্যন্ত একটি কাজ করতে পারেনি এবং সেটি হলো- এলজি’র ঠিক কোন প্রোপার্টিজটা কোন  কাজে ব্যবহার হবে সেটি উদঘাটন। অন্যরা সাধারণত যে কাজটা করেন, সমুদ্র বা অন্য কোনো সূত্র থেকে প্রাপ্ত শৈবাল রোদে শুকিয়ে তারপর প্রক্রিয়াজাত করে সেটি আবার নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে ব্যবহার করেন।

‘এক্ষেত্রে ওলমিক্স (Olmix) যে কাজটি করেছে সেটি হলো- এলজিকে এক্সট্রাকশন প্রোসেস এর মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে সেটি তখন আর এলজি হিসেবে থাকে না, বরং সেটি হয়ে যায় এক্সট্রাক্টেড মলিকুলার। এই মলিকুলটাকে আমরা বলি MSP (মেরিন সালফেটেড পলিস্যাকারাইড)। এই এমএসপি (MSP) টা একমাত্র ওলমিক্স এর নিজস্ব পেটেন্টেড মলিকুল; যা ওলমিক্স ছাড়া আর কারো কাছে পাওয়া যাবে না। ওলমিক্সের এ রকম ১৮টি এমএসপি রয়েছে, যেমনঃ এম এস পি ইমুনিটি, এমএসপি নিউসিন, এমএপি লিপিড, এমএসপি এন্টিবেক্টেরিয়া ইত্যাদি, এবং প্রতিটা এমএসপি’র ফাংশন আলাদা আলাদা। তাই আমরা সুনির্দিষ্ট সমস্যার জন্য সুনির্দিষ্ট সমাধান দিতে পারছি। দ্যাটস হোয়াই, ‘দিস ইজ মোর বায়োলজিক্যালি ইফেক্টিভ’। এই সিরাপের মধ্যে আমরা এ রকম একটি এমএসপি দিয়েছি সেটা হচ্ছে MSP Immunity, যেটা শুধু সুনির্দিষ্টভাবে ইমিউনিটি ডেভেলপ করার জন্য কাজ করবে।  অন্য যে কোন পণ্যের চেয়ে এখানটাতে অলমিক্সের সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ এর মূল পার্থক্য। সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ এর uniqueness সম্পর্কে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, সেটির উত্তর হবে এর এমএসপি’ -যোগ করেন ডা. বিকাশ।

খামারিরা কেন ‘সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ ব্যবহার করবে এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. বিকাশ বলেন, এটি বুঝতে হলে ইমিউনিটির কিছু প্রকারভেদ বুঝতে হবে। বিষয়টি লাইভ এবং কিল্ড ভ্যাকসিনের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। লাইভ ভ্যাকসিনের টাইটার যেমন খুব দ্রুত উঠে, ঠিক তেমনই দ্রুত নেমে যায়। অন্যদিকে কিল্ড ভ্যাকসিনের টাইটার উঠতে যেমন সময় বেশি লাগে, নামতেও তেমনই বেশি লাগে। ঠিক তেমনই ইমিউনিটি দুই প্রকার, একটি হলো Innate immunity এবং আরেকটি হলো Adaptive immunity । ইনেট ইমিউনিটি (Innate immunity) এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হলো- এটির টাইটার লেভেল যেমন খুব দ্রুত উঠে, আবার  ঠিক তেমনই দ্রুতই নামে। অন্যদিকে অ্যাডাপ্টিভ ইমিউনিটি (Adaptive immunity) -এর  টাইটার লেভেল উঠতে-নামতে দুটোতেই বেশি সময় লাগে। মুরগির ইমিউনিটি বিল্ডআপ করার জন্য বাজারে অন্য যেসব পণ্য রয়েছে সেগুলোর অধিকাংশই কেবলমাত্র Innate immunity কে ডেভেলপ করার কাজ করে। ফলে তারা দীর্ঘ সময় সুরক্ষা দিতে পারে না। এক্ষেত্রে ‘সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ দুইটি (Innate immunity ও Adaptive immunity) ইমিউনিটিকেই ডেভেলপ করতে পারে। যার ফলে লম্বা সময় ধরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। আর আমরা সবাই জানি, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত ভালো, সে তত বেশি সুস্থ্য।

সিরাপ স্টিল (Searup Still®) ব্যাবহারের বিধি সম্পর্কে ডা. বিকাশ বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার আগে একদিন  এবং পরে দুইদিন সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ ব্যবহার করতে হবে। এটি দেয়ার  ফলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা লম্বা সময় ধরে থাকবে। প্রতি ১০ কেজি মুরগির দৈহিক ওজনের ক্ষেত্রে পানিতে ০.৫-১ মিলি. ‘সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’ মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

উল্লেখ্য সিরাপ স্টিল (Searup Still®)’মূলত ফ্রান্সভিত্তিক কোম্পানি বিশ্বখ্যাত Olmix Group এর একটি পণ্য। কোম্পাটির উৎপাদিত পণ্য বিশ্বের ১০০টি দেশে বাজারজাত করা হয়। এভোন এনিমেল হেলথ ওলমিক্স গ্রুপের স্থানীয় (বাংলাদেশ) ডিস্ট্রিবিউটর।

বিস্তারিত জানতে এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ:
ডা. বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, টেকনিক্যাল ম্যানেজার, এভোন এনিমেল হেলথ্, মোবাইল:  ০১৭১২২০৫১৬৪

Disclaimer: এগ্রিনিউজ২৪.কম এর পক্ষ থেকে এই লেখা কোন প্রকার ক্রয়/বিক্রয় নির্দেশ করে না। খামারি এবং উদ্যোক্তাগণ অবশ্যই নিজস্ব বিবেচনা এবং বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ মোতাবে পণ্য ব্যবহার করবেন।  সিরাপ স্টিল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান এভোন এনিমেল হেলথ এর পক্ষ থেকে এটি কেবলমাত্র একটি বিজ্ঞাপন বার্তা।

This post has already been read 2049 times!