Thursday 25th of April 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / কৃষিকে ব্যয় সাশ্রয়ী করতে শক্তিচালিত মাড়াই যন্ত্র সহজলভ্য করা জরুরি

কৃষিকে ব্যয় সাশ্রয়ী করতে শক্তিচালিত মাড়াই যন্ত্র সহজলভ্য করা জরুরি

Published at ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : দেশে বাণিজ্যিক কৃষি  ব্যবস্থা প্রবর্তনে জমিতে সময়মতো চাষ, রোপন ও কর্তন তথা কৃষি কাজকে ব্যয় সাশ্রয়ী করার স্বার্থে কর্ষন-যন্ত্র, রোপন যন্ত্র, শস্য কর্তন যন্ত্র ( রিপার, কম্বাইন হারভেস্টার), শক্তিচালিত মাড়াই যন্ত্র সহজলভ্য করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। কৃষির বিভিন্ন স্তর যেমন চাষ, বীজ বপন, রোপন, সার প্রয়োগ মধ্যবর্তী সময়ের পরিচর্যা, কর্তন, মাড়াই ঝাড়াই শুকানো গুদামজাতকরণ ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে এসব যন্ত্র ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন খরচ সাশ্রয় হয় অপরদিকে ফলন ও বেশি হয়।

গত শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) লালদিঘীর মাঠে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপনের শুভ উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (সরেজমিন উইং) পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গোদাগাড়ী উক্ত সভার আয়োজন করেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মোজদার হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শামসুল ওয়াদুদ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মোছা. উম্মে ছালমা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গোদাগাড়ীর অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোসা. মোস্তাকিমা খাতুন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোমেনুল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ডি.কৃষিবিদ মোঃ শফিকুল আলম ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ডি.কৃষিবিদ প্রফুল্ল কুমার সরকার।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাই দমন ব্যবস্হাপনা আইপিএম মডেল ইউনিয়নের প্রদর্শনী মাঠ, ড্রাগন বাগান পরিদর্শন ও উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীদের দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মরিয়ম আহমেদ।

উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণী এবং গন্যমান্য ব্যক্তি-বর্গ, এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধিসহ অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 1311 times!