মঙ্গলবার , অক্টোবর ৮ ২০২৪

চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনগণকে চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টালে “বাংলাদেশে ফোর্টিফাইড চালের বাণিজ্যিক যাত্রা” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা  নিয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আরো যে নীতিগুলো  আছে তার সবগুলোতেই পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষি গবেষকেরা উন্নজাতের জাত উদ্ভাবন করায় দানাদার খাবারসহ মাছ মাংসে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাল থেকে আগে প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাওয়া যেত। তখন মাছ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলাম না। এখন কেন চালে অনুপুষ্টি মিশাতে হচ্ছে তা ভেবে দেখতে হবে।

মানুষ পুষ্টিহীন সিল্কি চাল খেতে পছন্দ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন এর ফলে মানুষের মাঝে পুষ্টিহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চকচকে চাল না খেতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। চকচকে চালকে না বলতে হবে। চাল চকচকে করতে গিয়ে বছরে প্রায় ১৬/১৭ লাখ মেট্রিকটন ঘাটতি হয়। আবার চাল হয়ে যায় পুষ্টিহীন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন,পুষ্টিচাল যাতে সাধারণ মানুষ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারে সেজন্য পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া পুষ্টিচাল ভোক্তা পর্যায়ে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না। এসময় তিনি বেসরকারি চাল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোগী হওয়ার এবং দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার আহবান জানান তিনি।

খাদ্য মন্ত্রণালরর সচিব মো: ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: শাখাওয়াত হোসেন ও জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী বাংলাদেশ এর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনট্যাটিভ ও কান্ট্রি ডিরেক্টও ডম স্কেলপেলি বিশেষ অতিথির  বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধন ঘোষণার পরে খাদ্যমন্ত্রী পুষ্টিচালের বিভিন্ন স্টলে ঘুরে দেখেন।

উল্লেখ্য, পুষ্টি চালে যুক্ত করা হয়েছে আয়রণ, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১,ফলিক এসিড।সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে এই চাল সহজলভ্য করার জন্য আপাতত ৫টি প্রতিষ্ঠান ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিক্রয় কেন্দ্র ও সুপার শপে সরববরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে তারা ঢাকা মহানগরের মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কাওরান বাজার, আগোরা ও স্বপ্ন সুপারশপ, চালডাল ও মেট্রিক্স বাজার অনলাইন মার্কেটসমুহে পরীক্ষামূলক বাজারজাত করেছে।

This post has already been read 1932 times!

Check Also

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রাণী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে

সিকৃবি সংবাদদাতা: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেছেন …