Tuesday 19th of March 2024
Home / প্রাণিসম্পদ / চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই প্রায় ৬০ লাখ টাকার গরু!

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই প্রায় ৬০ লাখ টাকার গরু!

Published at অক্টোবর ২৩, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে প্রায় ৬০ লাখ টাকার গরু। আজ ভোর আনুমানিক ৪টায় চট্রগ্রামের বায়োজিদ থানার হাজিরপুলে (ইউনুস কলোনি) অবস্থিত ইখলাস রিজিক ডেইরি অ্যান্ড এগ্রো ফার্মে উক্ত মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এত ফার্মটির ১৮টি বড় আকারের ষাড় মারা যায় এবং একই সাথে পার্শ্ববর্তী মো. শাহাদাত হোসেন এর খামারের ২৫লিটার দুধ দেয়া ১টি গাভী মারা যায় ও ৬টি গরু মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়।

ইখলাস রিজিক ডেইরি অ্যান্ড এগ্রো ফার্মের মালিক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন (সুজন) এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, আমাদের ফার্মে মোট ১৯টি ষাঁড় গরু ছিল এবং এর মধ্যে এখন কেবল একটি গরু বেঁচে আছে; অর্থাৎ ১৮টি গরু জীবন্ত পুড়ে ছাই। গরুগুলোর মধ্যে মধ্যে ২টি গীর, একটি বাঁছুর, একটির ওজন ছিল প্রায় ২২ মণ, একটি ১৪ মণ এবং বাকীগুলোর ওজন ছিল ৯ থেকে সাড়ে ৯ মণ। চোখের সামনে অসহায় প্রাণীগুলোকে জ্বলতে দেখেছি কিন্তু কিছুই করতে পারিনি। এতে আমাদের প্রায় ৫৫-৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে, এখন আমরা নিঃস্ব প্রায়।

‘আমরা দুজন পার্টনার অনেক আশা নিয়ে ফার্মটি শুরু করেছিলাম যাতে চাকুরির পাশাপাশি কিছু একটা করতে পারি এবং দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি। এটিকে আমরা কোনভাবেই দুর্ঘটনা নয় বরং হত্যা বলতে চাই। কারণ, জমির মালিক মো. ইউনুসের গাফিলতির কারণে আজকে এমন মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হয়েছি’ -যোগ করেন সুজন।

সুজন বলেন, সন্ধ্যার পর ভোল্টেজ আপডাউন করাতে মাঝেমাঝে ছোটখাটো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতো। একটি সময় আমরা জানতে পারি, আমাদের ফার্মের জমির মালিক মো. ইউনুস সন্ধ্যার পরে কলোনিতে অবৈধভাবে কিছু বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার করতেন। এ ব্যাপারে আমরা তাকে কয়েকবার সতর্ক করি; আমরা অনুরোধ করি যাতে তিনি আমাদের জন্য আলাদা মিটার ও সার্কিট ব্রেকার লাগিয়ে দেন। এজন্য তিনি আমাদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকাও নিয়েছেন। কিছুদিন আগে তিনি ফার্মের জন্য কেবল একটি আলাদা মিটার লাগিয়ে দেন; কিন্তু আজ করবো, কাল করবো বলে আলাদা সার্কিট ব্রেকার লাগিয়ে দেননি। আমরা জানতে পেরেছি যে, অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে ১০-১৫ দিন আগে তিনি সরকার থেকে ৮০ হাজার টাকার পেনাল্টিও পেয়েছিলেন; কিন্তু তিনি শুধরাননি। আমরা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবো এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি।

জানা যায়, ঘটনা অবহিত করার পরপরই চট্রগ্রাম জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ও বিকেলে চট্রগ্রাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. একেএম হুমায়ুন উক্ত খামার পরিদর্শন করেন ও কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করেন।

This post has already been read 1742 times!