শনিবার , জুলাই ২৭ ২০২৪

সারের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না, দাবী কৃষিমন্ত্রীর

বরিশাল সংবাদদাতা:  ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধির ফলে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। একইসাথে, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমলে দেশেও সারের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে বরিশাল শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। কৃষকদের মধ্যে ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রথমে ২৫ টাকা (২০০৯ সালে), এবং পরে ২০১৯ সালে ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ডিএপির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ভেবেছিলাম ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমবে, কিন্তু কমে নি।

দাম বৃদ্ধির ফলে ইউরিয়ার ব্যবহার কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, সরকার ইউরিয়া সারের দাম ০১ আগস্ট ২০২২ তারিখ থেকে কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধি করে ডিলার পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ১৪ (চৌদ্দ) টাকা হতে বৃদ্ধি করে প্রতিকেজি ২০ (বিশ) টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ১৬ (ষোল) টাকা হতে বৃদ্ধি করে প্রতিকেজি ২২ (বাইশ) টাকা পুননির্ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকেজি ইউরিয়ার সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা।

This post has already been read 1789 times!

Check Also

জিএমও নিয়ে প্রচলিত ধারণা ভুলের দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক: জিএমও নিয়ে প্রচলিত ধারণা ভুলের দাবী করেছেন একদল বিজ্ঞানী ও গবেষক। এ ব্যাপারে …