Tuesday 19th of March 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / বারি উদ্ভাবিত পানিকচুর জাতের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

বারি উদ্ভাবিত পানিকচুর জাতের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

Published at জুলাই ৪, ২০২২

গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে বারি উদ্ভাবিত পানিকচু ফসলের বিভিন্ন জাতের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দস্যু নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক মো. আফজাল হোসেন এর মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ‘কচু ফসলের জিন পুল সমৃদ্ধ, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নত জাত বিস্তারের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ কর্মসূচী’ এর অর্থায়নে আয়োজিত এ মাঠ দিবসে আয়োজন ঐ এলাকার ৫০ জন কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

বারি’র কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. সোহেলা আক্তার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মাঠ দিবসের উদ্বোধন করেন। কচু ফসলের কর্মসূচি পরিচালক ও বারি’র কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ছামছুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোশাররফ হোসেন মোল্লা, কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমন কুমার বসাক এবং কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সাখাওয়াত হোসেন প্রধান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. সোহেলা আক্তার কচু ফসলের পুষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরে রক্ত শূণ্যতা দূরীকরণে কচু বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বলেন, বারি উদ্ভাবিত কচু ফসলের জাতগুলো গলায় ধরে না এবং সমানভাবে সিদ্ধ হয়, কোন কচকচে ভাব থাকে না। এছাড়া এ জাতগুলো উচ্চফলনশীল হওয়ায় সারা দেশে এর চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে গত ২০ বছরে কচু ফসলের উৎপাদন এলাকা ও মোট উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিকচুর লতি ও মুখী কচু দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. ছামছুল আলম পানিকচুর নতুন জাত বারি পানিকচু-৭ এর গুণাগুণ বর্ণনা করেন। তিনি বলেন এই জাতটি মূলত রাইজোম বা কান্ড উৎপাদন করে এবং অল্প পরিমাণে লতিও উৎপন্ন হয়। এ জাতটির রাইজোম কাঁচা অবস্থায়ও খাওয়া সম্ভব। তাই এ এলাকার কৃষক-কৃষাণীগণ বারি উদ্ভাবিত পানিকচুর জাতগুলোর উচ্চ ফলনশীলতা ও উন্নত গুণাগুণের কারণে চাষাবাদে উৎসাহিত হয়েছেন।

This post has already been read 2086 times!