Tuesday 19th of March 2024
Home / প্রাণিসম্পদ / মানুষ চাইলে এখন তিন বেলাও মাংস খেতে পারে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মানুষ চাইলে এখন তিন বেলাও মাংস খেতে পারে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

Published at মে ২৮, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘মানুষ চাইলে এখন তিন বেলাও মাংস খেতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (২৮ মে) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ও সম্ভাবনা: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা ও ফেলো নির্বাচনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। প্রাণিসম্পদ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি বলেন এ সময় মন্ত্রী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিপ্রেক্ষিতের যৌথ উদ্যোগে এবং ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

‘দেশের বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন মানুষ চাইলে তিন বেলাও মাংস খেতে পারে। প্রাণিসম্পদ খাতের এ বিকাশ সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে’ – যোগ করেন মন্ত্রী।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে ও পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় কর্মশালাযর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) দীপক রঞ্জন রায়। গ্লোবাল টিভির এডিটর ইন চিফ ও সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও ফিশারিজ অ্যান্ড লাভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডা. রেয়াজুল হক ও  প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ডা. মো. গোলাম রব্বানীসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বড় একটি খাত প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এর উপকারভোগী আমরা সবাই। এ খাতে উৎপাদন না হলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির সংকট তৈরি হবে। এ খাত পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বেকারদের স্বাবলম্বী করে, উদ্যোক্তা তৈরি করে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করে। খাবারের একটি বড় যোগান আসে মাংস, দুধ ও ডিম থেকে। তাই এ খাতকে সামনে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন। সৃজনশীলতা নিয়ে এগিয়ে গেলে এ খাতে ভালো কিছু করা সম্ভব। এ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গণমাধ্যমের বড় সহায়ক শক্তি।

মন্ত্রী আরো বলেন, গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের একটি লেখা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি ও সাহস যোগায়। একটি ভালো সংবাদ থেকে মানুষ উদ্দীপ্ত হয়, উৎসাহিত হয়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভাবনীয় শক্তি সঞ্চার করে।

প্রধান অতিথি আরো জানান, করোনা সংকটে প্রাণিসম্পদ খাতকে রক্ষার জন্য সরকার ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে করে উৎপাদনকারী ও ভোক্তা উভয়ে লাভবান হয়েছে। নয় হাজার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রি হয়েছে। গত রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ খাতের সম্ভাবনার পাশাপাশি ত্রুটির কথা গণমাধ্যম সামনে নিয়ে আসলে সেটি সরকারের জন্য সহায়ক হবে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।

This post has already been read 1750 times!