Tuesday 19th of March 2024
Home / প্রাণিসম্পদ / বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

Published at মার্চ ১৪, ২০২২

ধামরাই সংবাদদাতা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিএলআরআই কর্তৃক ধামরাইয়ের শরীফবাগ গ্রামে বাস্তবায়নাধীন ‘বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লী’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১৪ মার্চ) ধামরাই শরিফবাগ শরিফুন নেশা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রযুক্তি পল্লীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলর এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। এ সময়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে  প্রযুক্তি পল্লীর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

পবিত্র কোরআন হতে তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএলআরআই এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (রুঃ দাঃ) এবং প্রাণি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিপ্লব কুমার রায়। বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর ওপর ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর প্রধান গবেষক ড. রেজিয়া খাতুন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর সরাসরি উপকারভোগী দুইজন খামারি এবং বিএলআরআই প্রযুক্তি পল্লীর সফলতা দেখে খামার তৈরিতে উৎসাহ প্রাপ্ত একজন উদ্যোক্তার কথা তুলে ধরা হয়।

প্রধান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, আমি সব সময় বলি যে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আজকে আমাদের বাংলাদেশের কৃষির অগ্রযাত্রা। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এদেশের কৃষিকে যদি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো না যায়, তবে কোন উন্নয়নই টিকে থাকবে না। যার জন্য জাতির জনক স্বাধীনতার পরপরই কৃষির উন্নয়নের উপরে জোর দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল আধুনিক কৃষি. উন্নত ব্যবস্থাপনা ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার। আমরা সবুজ বিপ্লবের কথা বলি এটা কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই করেছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সুখী সমৃদ্ধ এবং মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন করতে হলে প্রাণিজ আমিষের কোন বিকল্প নেই। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হলে তখন মানুষের চাহিদার মধ্যে অন্যতম গুরুত্ব পাবে নিরাপদ খাদ্য। আমাদের এই প্রযুক্তি পল্লীতে বেশ কিছু প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে এবং খামারিরা নিজেরাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আপনাদের এখান থেকে গরুর মাংস এবং মুরগির মাংস বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে আমরা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা। এছাড়াও এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই-এর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণসহ বিএলআরআই-এর অন্যান্য উর্দ্ধতন বিজ্ঞানীবৃন্দ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শরীফবাগ ও এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাছাই করা মোট ৫০ জন খামারি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শেষে নির্বাচিত খামারিদের মাঝে মুরগির বাচ্চা এবং ছাগল ও ভেড়ার বাচ্চা বিতরণ করা হয়।

This post has already been read 2193 times!