Friday 26th of April 2024
Home / অন্যান্য / কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব দিয়ে ডি-৮ মিটিং শুরু হচ্ছে বুধবার: কৃষিমন্ত্রী

কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব দিয়ে ডি-৮ মিটিং শুরু হচ্ছে বুধবার: কৃষিমন্ত্রী

Published at জানুয়ারি ১১, ২০২২

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। (ফাইল ফটো)

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আগামীকাল বুধবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশের জোট বা ডি-৮ মন্ত্রিপর্যায়ের দুদিনব্যাপী মিটিং। কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তার উপর ৭ম ডি-৮ (7th D-8 Ministerial Meeting on Agriculture and Food Security) মিটিংটি কোভিডের কারণে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে । বাংলাদেশ এখন ডি-৮ ফোরামের সভাপতি। এ কারণে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার অংশ হিসেবে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, বাংলাদেশ বর্তমানে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামেরও (সিভিএফ) সভাপতি। এ মিটিংয়ে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারের প্রমোশন নিয়ে আলোচনা হবে, সেজন্যও এ মিটিংটি গুরুত্বপূর্ণ।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। ব্রিফিংকালে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, এ উচ্চ পর্যায়ের মিটিংয়ে জোটের সদস্য দেশসমূহ: বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের কৃষি- খাদ্য মন্ত্রীগণ এবং সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া, IDB, FAO, IFAD, IRRI, CIMMYTসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করবেন।

মন্ত্রী আরো জানান, এবারের মিটিংয়ের মূল আলোচনার বিষয় হলো কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষির উন্নয়ন। এক্ষেত্রে জোটভুক্ত দেশসমূহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচিত হবে। কৃষির উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে করণীয়, যৌথ কৃষি গবেষণা, যান্ত্রিকীকরণ, এগ্রো-প্রসেসিং, ব্লু ইকোনমি, সার উৎপাদন, বীজ, অ্যানিমেল ফিড, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোকপাত করা হবে।

চালের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চালের উৎপাদন প্রতিবছর বাড়ছে। বাজারে চালের পর্যাপ্ততা রয়েছে।  কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, বর্তমানে বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়েছে। গমের দাম বাড়লে চালেরও দাম বাড়ে। দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। প্রতিবছর ২২-২৪ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে। এছাড়া, অ্যানিমেল ফিড হিসেবেও চালের কিছু ব্যবহার হচ্ছে। এসকল বিষয় ও  কিছুটা মুদ্রাস্ফীতির ফলে চালের দাম কিছুটা বেশি। কিন্তু বাজারে গেলে চাল পাওয়া যায় না বা মানুষ কিনতে পারে না এমন পরিস্থিতি নেই। এই মুহুর্তে দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই।

This post has already been read 1557 times!