Thursday , September 18 2025

মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চলতি বছর ১৭টি জেলায় বেহুন্দী জাল, কারেন্টজালসহ মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সকল প্রকার অবৈধ জাল অপসারণে ৩০ দিনব্যাপী বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করছে। জাটকা ও সামুদ্রিক মাছের ডিম, লার্ভী ও পোনা রক্ষায় গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চার ধাপে চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত।

বিশেষ কম্বিং অপারেশনের আওতাভুক্ত ১৭টি জেলা হচ্ছে পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালী, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর ও চাঁদপুর।

উল্লেখ্য, দি প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস্, ১৯৮৫ অনুযায়ী সরকার ২০১৩ সালে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জাল, মশারি জাল, চরঘেরা জাল, বেড়/জগৎবেড় জাল, কারেন্ট জাল প্রভৃতি ক্ষতিকারক জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং ইলিশ আহরণের জালের ফাঁস ৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা ২ দশমিক ৬ ইঞ্চি নির্ধারণ করেছে। মৎস্যসম্পদের জন্য ক্ষতিকর এসব জালের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে জাটকাসহ সামুদ্রিক ও উপকূলীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ডিম, রেণু ও পোনা বিনষ্ট হবে এবং উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ার পাশাপাশি জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট হবে।

সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত এসব জাল ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।

This post has already been read 4950 times!

Check Also

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আইন করে মাছের অভয়ারণ্য সংরক্ষণ জরুরী – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব

সিকৃবি সংবাদদাতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেছেন, বাংলাদেশের মৎস্য খাত …