Friday 29th of March 2024
Home / অন্যান্য / মার চেয়ে মাসীর দরদ বেশি: মির্জা ফখরুলকে কৃষিমন্ত্রী

মার চেয়ে মাসীর দরদ বেশি: মির্জা ফখরুলকে কৃষিমন্ত্রী

Published at ডিসেম্বর ১৯, ২০২১

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি।

সখিপুর (টাঙ্গাইল) : সরকার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তাজউদ্দীন আহমদের নাম উচ্চারণ করে নি’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘মার চেয়ে মাসীর দরদ বেশি। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর। এই ৫০ বছরে বিএনপির কোন নেতাকর্মী এক সেকেন্ডের জন্য, একবারের জন্যও কি তাজউদ্দীন আহমদের নাম, জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নাম উচ্চারণ করেছে? করেনি। আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী যে কোন অনুষ্ঠানে প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে ও শ্রদ্ধা জানায়, তারপর জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করে তাদের বক্তব্য শুরু করে। আওয়ামী লীগ সবসময়ই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিষয়ে সচেতন ও শ্রদ্ধাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধ যাঁদের নেতৃত্বে হয়েছে, তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা পরিষদ মাঠে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে না, এটি করে বিএনপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে, ভূলুণ্ঠিত করেছে এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছে। তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির কথা শোভা পায় না।

সরকার প্রতিবছর দেশের ১ কোটি পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের গরিব, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা খাওয়ার জন্য যাতে কোন কষ্ট না পায়, সেজন্য ১ কোটি পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল দেয়া হচ্ছে। একইসাথে, ওএমএস, টিআর, কাবিখার মাধ্যমে চাল দেয়া হচ্ছে। দেশে খাদ্য নিয়ে কোন হাহাকার নেই, কোন মানুষ না খেয়ে নেই। এমনকি মঙ্গাপীড়িত, দুর্গম চর এলাকা, উপকূল এলাকা, দারিদ্র্যপীড়িত পাহাড়ি এলাকাসহ প্রতিকূল এলাকাতেও মানুষের খাদ্যের কষ্ট নেই।

পরে কৃষিমন্ত্রী সখিপুর উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগদান করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দলকে আরও সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করতে হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে, দলকে তারা আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেজন্য, বঙ্গবন্ধু ও দলের আদর্শের প্রতি নেতাকর্মীর আনুগত্য, রাজনৈতিক দৃঢ়তা এবং অতীত কর্মকাণ্ড ভালভাবে যাচাইবাছাই করে নতুন কমিটিতে স্থান দিতে হবে।

সখিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শওকত শিকদারের সঞ্চালনায় টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক  শামসুন নাহার চাঁপা, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার,  পরিবেশ ও বন উপকমিটির সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়,  তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য ইঞ্জি. আতাউল মাহমুদ, সখিপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

This post has already been read 1806 times!