Tuesday 23rd of April 2024
Home / অন্যান্য / যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

Published at অক্টোবর ২৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) মিলনায়তনে ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন ২০২১-২২ শীর্ষক কর্মশালার সমাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিকভাবে সমঅধিকার রয়েছে। এই সমঅধিকারের রাম-রহিমের বাংলাদেশকে যারা বিভাজনের অপচেষ্টা করে, তারা জাতির শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু, মানবতার শত্রু। এ দেশের মানুষ কখনোই সাম্প্রদায়িকতা প্রশ্রয় দেয়নি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অভিহিত করে যারা আমাদের স্বাধীনতাকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা আবার পূর্ব-পাকিস্তান কায়েম করতে চেয়েছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে। আবার নতুন করে যদি কেউ দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আর উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চায়, তাদেরকে সরকার কঠোর হাতে দমন করবে”।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্র গবেষণায় অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বিএফআরআই সংশ্লিষ্টরা তাদের গবেষণার মাধ্যমে সর্বোচ্চ যোগ্যতার বিকাশ ঘটাতে হবে। গবেষণায় নতুন নতুন বিষয় ও তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করতে হবে। আর শুধু গবেষণা করলেই হবে না, সে গবেষণার ক্ষেত্রকে সম্প্রসারণ করতে হবে। গবেষণালব্ধ সবকিছু ব্যবহারের ক্ষেত্র উন্মুক্ত করতে হবে”।

এ সময় বিএফআরআই-এর গবেষণার পরিসর ও কাজের গতি আরও ব্যাপক আকারে বাড়ানোর তাগিদ দেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “গবেষণাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষভাবে উৎসাহিত করতে চান, পৃষ্ঠপোষকতা দিতে চান, প্রণোদনা দিতে চান। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন গতানুগতিকতার মধ্য দিয়ে কোনো কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব নয়। আবিষ্কার করতে হলে গবেষণা দরকার। গবেষণার জন্য যে তথ্য দরকার, লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার, অবকাঠামো সাপোর্ট দরকার সবকিছুই সরকার প্রদান করবে”।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরের কর্মকর্তারা অধিকাংশই মেধাবী উল্লেখ করে মন্ত্রী রোগ করেন, “রাষ্ট্র বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে জাতির জন্য মেধাবী সন্তান তৈরি করে। তারাই গবেষক হয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছেন। সে মানুষগুলোকে দেশ ও জাতির জন্য অবদান রাখতে হবে। সে অবদান রাখতে হবে তাদের গবেষণার মাধ্যমে”।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও এস এম ফেরদৌস আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিএফআরআই এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. এম এ মজিদ, বিএফআরআই এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীগণ, স্থানীয় মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

কর্মশালায় উপস্থাপিত মোট ৬৫টি গবেষণা প্রস্তাবের মধ্যে তিনজন সেরা গবেষণা প্রস্তাব উপস্থাপনকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে সমাপন অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়।

This post has already been read 1059 times!