Friday 26th of April 2024
Home / মৎস্য / ৪ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধ

৪ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধ

Published at সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণও এ সময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরশেনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোঃ মতিউর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, মৎস্য বিজ্ঞানী ও গবেষকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব, নৌ পুলিশ, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “মৎস্য খাতকে কোনভাবেই ধ্বংস হতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার নির্দেশনা, নজরদারি ও পৃষ্ঠপোষকতায় ভাতে-মাছে বাঙালির বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে খাদ্যের চাহিদা পূরণ হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে, উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে এবং দেশের রফতানি আয় বাড়ছে।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “মৎস্যজীবীদের স্বার্থেই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় স্বার্থ যারা ধ্বংস করতে চাইবে, তাদের বিষয়ে কোন ধরণের বিবেচনা বা অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কঠিন থেকে কঠিনতর পদক্ষেপ নিতে আমরা কুন্ঠা বোধ করবো না। দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় যত কঠিন হওয়া লাগে, তত কঠিন হতে হবে। কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দেওয়ার অবকাশ নেই”।

ইলিশ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত বছরের তুলনায় অধিক সফল করার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। মৎস্যসম্পদ রক্ষায় নিজ দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে সঠিক কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের এ সময় আহ্বান জানান তিনি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সব ধরনের দায়-দায়িত্ব নেবে বলেও জানান তিনি।

This post has already been read 2575 times!