Wednesday 24th of April 2024
Home / প্রাণিসম্পদ / আবাদপুকুরে জমজমাট পশুর হাট

আবাদপুকুরে জমজমাট পশুর হাট

Published at জুলাই ১৫, ২০২১

রাজেকুল ইসলাম (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট আবাদপুকুর। করোনা সংক্রমন উর্দ্ধগতির কারণে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে হাট ইজারাদার গত ৮জুলাই বুধবার সকাল থেকে জমজমাট পশুর হাট বসালে ওই দিন বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা গরু-ছাগল রেখে দিকবিদিক ছুটাছুটি করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার স্বাস্থ্য বিধি মেনে জেলার পশুর হাট বসানোর ঘোষনা দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক চলমান কঠোর লকডাউনের শেষ দিনে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে উপজেলার আবাদপুকুর হাটে বসেছে মজমাট পশুর হাট। হাটে গরু-ছাগলের প্রচুর পরিমান আমদানি হলেও দাম চড়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাট কর্তৃপক্ষ বলছে করোনাকালিন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পশুর হাটে মাইকিং, প্রবেশ মুখে মাস্ক বিতরণ ও মোড়ে মোড়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বাস্তব চিত্র উল্টো। অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

জানা গেছে, উপজেলার পশুর বড় হাট আবাদপুকুর। সপ্তাহে দুই দিন হাটবার থাকলেও বিশেষ করে বুধবারে জমজমাট পশুর হাট বসে। এই হাটের অবস্থান নওগাঁ, বগুড়া ও নাটোর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় কয়েক জেলার দূর দূরান্ত থেকে হাজারও ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে। করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমানে সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় হাটে প্রচুর গরু-ছাগল আমদানি হয়েছে। তবে দাম চড়া এমটাই বলছে ক্রেতারা।

গরু বিক্রি করতে আবাদপুকুর হাটে আসা উপজেলার কালিগ্রামের ওহেদুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি না হলে আমাদের লোকসান হবে। গৌ খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় গরু লালন-পালন করতে তাদের গত বছরের তুলনায় খরচ অনেক বেশি  হয়েছে। সেই তুলনায় চড়া দামে বিক্রি করতে পারলেও লাভ তেমন হবেনা। তারপরও করোনার এই মহামারিতে গরু বিক্রি করতে পেরে আমি খুশি। আবাদপুকুর হাটে গরু কিনতে আসা দামুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি একটি চার দাঁত বয়সের সাঁড় কিনেছি। দাম এক লক্ষ টাকা। তাতে আমার মনে হয় বাজার চড়া।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনেই হাট কর্তৃপক্ষকে পশুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারপরও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। কোথাও কোন ধরণের বাত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

This post has already been read 1997 times!