Tuesday 19th of March 2024
Home / uncategorized / শীঘ্রই মাছ, দুধ, ডিম, মাংসে উদ্বৃত্ত থাকবে বাংলাদেশ -কৃষিমন্ত্রী

শীঘ্রই মাছ, দুধ, ডিম, মাংসে উদ্বৃত্ত থাকবে বাংলাদেশ -কৃষিমন্ত্রী

Published at এপ্রিল ২৪, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জন্য পুষ্টিসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের জন্য  চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পুষ্টিসম্মত খাবার নিশ্চিতে  সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে  গত ১০ বছরে যেসব প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে, উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে ও সার্ভিস দেয়া হচ্ছে- তার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে পারলে, দেশ যেমন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে তেমনি আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মৎস্য, হাঁস-মুরগি, দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকবে।

মন্ত্রী শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২১ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ভেটেরিনিয়ানদের উদ্দেশ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে এ খাতকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। সকলের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে হবে।

ড. রাজ্জাক আরো বলেন, পুষ্টিসম্মত খাবারের নিশ্চয়তার জন্য  মানুষের আয় বাড়াতে হবে এবং কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করতে হবে।  নাহলে পর্যাপ্ত খাবার উৎপাদন করলেও মানুষ তা কিনতে ও ভোগ করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, দারিদ্র্যবিমোচনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে কৃষি। দেশে এখনো ২৮ ভাগ লোকের একটি কুঁড়ে ঘর ছাড়া কোনো জায়গা জমি নেই, ৫৬ ভাগ লোক ভূমিহীন। আমরা বিভিন্ন প্রচলিত ও অপ্রচলিত ফসল চাষের কথা বলছি। যার জমি নাই, সে কিভাবে করবে। তাদের দারিদ্র্য কিভাবে কমবে। এছাড়া, সরকার আগামীতে দারিদ্র্য ১২ ভাগে এবং অতিদরিদ্র  ৫ ভাগে নামিয়ে আনতে নিরলস কাজ করছে। আমি মনে করি, এসবক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে  পারে  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব  রওনক মাহমুদ। ‘ভেটেরিনিয়ান রেসপনস টু দ্যা কভিড-১৯  ক্রাইসিস’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. এ এস মাহফুজুল বারী।  অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন বাকৃবি এলামনাই এসোসিশেনের নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা,  সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য  প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান, বাকৃবি বাউরেসের পরিচালক প্রফেসর ড. আবু হাদি নূর আলী খান,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান ও ডা. মো. আওলাদ হোসেন প্রমুখ।

This post has already been read 2099 times!