Friday 19th of April 2024
Home / uncategorized / চরদিঘলদীতে প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তি হস্তান্তর ও খামারি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চরদিঘলদীতে প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তি হস্তান্তর ও খামারি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

Published at মার্চ ৩, ২০২১

নরসিংদী সংবাদদাতা: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, নরসিংদী সদর, নরসিংদী এর আয়োজনে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামারের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য বাজারমূল্য প্রাপ্তিতে প্রাণিসম্পদ বিষয়ক সফল প্রযুক্তি হস্তান্তর ও খামারী সমাবেশ বুধবার (৩ মার্চ) সকালে চরদিঘলদী ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়।নরসিংদী সদর উপজেলা প্রাণিস্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্দ কামরুল ইসলাম -এর সভাপতিত্বে খামারী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিস্পদ অধিদপ্তরের জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. হাবিবুর রহমান খান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা খানম (তুলি)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অত্র দপ্তরের ফিল্ড এসিসট্যান্ট আয়েশা মরিয়ম র্ঊমি, ফিল্ড এসিসট্যান্ট মো. সাগর,এলএসপি মো. আক্তার হোসেন,সীল র্কমী আ. করিম প্রমুখ ।

খামারী সমাবেশে উপজেলা প্রাণিস্পদ অফিসার ডা. মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন,এনএটিপি-০২ এর মাধ্যমে নরসিংদী সদর উপজেলা হতে প্রাণিসম্পদ বিষয়ক নব নব প্রযুক্তি ও সম্প্রসারণ সেবা খামারীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।  র্কাযকরী প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি গ্রহণ করে এ অঞ্চলের খামারীরা  স্বল্প পুঁজি,স্বল্প জমি ও অল্প বিনিয়োগ করে আত্মর্কমসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, আমিষের চাহিদা পূরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা র্নিবাহের অন্যতম মাধ্যম।এ সময় তিনি উন্নত জাতের গাভীপালন প্রযুক্তি, ব্রাহমা জাতের ষাঁড় বাঁছুর প্রযুক্তি, নিলি-রাভি মহিষপালন প্রযুক্তি ,গয়াল ও গারল পালন প্রযুক্তি, ব্রয়লার, লেয়ার ও কোয়েল পালন প্রযুক্তি, থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা অধিক উৎপাদনশীল ও পুষ্টিমানসমৃদ্ধ উন্নত পাকচং-০১ জাতের ঘাস চাষাবাদ প্রযুক্তি ,ইউএমএস প্রযুক্তি,সাইলেজ প্রযুক্তি,এলএসডি ও পিপিআর নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি, এফএমডি ও ম্যাসটাইটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথি জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, র্বতমান সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর গতবার বছরে দুধ ও ডিমের উৎপাদন বেড়েছে আড়াই গুণ ও মাংসের উৎপাদন বেড়েছে পাঁচগুণ। নরসিংদী জেলায় দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় উদৃত্ত্ব রয়েছে।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য তিনি খামারীদের অনুরোধ করেন।

ডা. তাহমিনা খানম (তুলি) বলেন, প্রতিদিন যাতে একজন মানুষ সকালে এক কাপ দুধ, বিকালে একটি ডিম এবং প্রতিদিন ১২০ গ্রাম করে মাংস পায়,  সে লক্ষ্যে এনএটিপি-০২ কাজ করছে। সকলের জন্য নিরাপদ, র্পযাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যেও এনএটিপি-০২ এর র্কাযক্রম চলমান রয়েছে। তিনিও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য বাজারজাতকরনের জন্য প্রাণিসম্পদ বিয়ষক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য খামারীদের অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন সফল খামারী মোসা. মর্জিনা বেগম জানান, প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি  আজ স্বাবলম্বী। দোয়ানী গাভীপালন সিআইজি সমিতির সভাপতি মো. আক্তার হোসেন বলেন, এক সময় তিনি বেকার ছিলেন। তার কোন ঠিকানা ছিলো না। তিনি এক সময় স্বপ্ন দেখতেন একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার। প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আজ তিনি র্অথনৈতিকভাবে স্বচ্ছল ও  স্বাবলম্বী। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি তিনি নরসিংদী সদরের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের র্কমর্কতা ও কর্মচারীদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, সিআইজি নন-সিআইজি সমাবেশে পঞ্চাশ জনের অধিক খামারী ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তির্বগ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2583 times!