Friday 26th of April 2024
Home / শিক্ষাঙ্গন / নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে আরো গবেষণা করতে হবে – ড. গওহর রিজভী

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে আরো গবেষণা করতে হবে – ড. গওহর রিজভী

Published at ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু (বাকৃবি) : বর্তমানে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করাসহ খাদ্য সংরক্ষণ, ও বাজারজাতকরণের নানা বিষয় নিয়ে আমাদের গবেষকদের আরো গবেষণা করতে হবে। শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেম (বাউরেস) এর আয়োজনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে ‘বার্ষিক গবেষনা উন্নয়ন ২০১৮-২০১৯’ শীর্ষক ২দিন ব্যাপী কর্মশালা, পোস্টার প্রদর্শণী ও গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের কৃষির অভ’তপূর্ব সাফল্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের বিশেষ ভূমিকার রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেম (বাউরেস) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল  ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষিবিষয়ক গবেষণার রুপান্তর’।

ড. গওহর রিজভী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগের বছরগুলোতে ক্ষুধামন্দা লেগেই থাকতো। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের সময় জনসংখ্যা ছিলো প্রায় ৭০ মিলিয়ন এবং আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন ছিলাম না। আজ দেশের জনসংখ্যা ১৬০ মিলিয়নের বেশি হওয়া সত্ত্বেও আমরা খাদ্য স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং তাদের উন্নত গবেষণার ফলে আমরা এই সফলতা পেয়েছি। বর্তমানে আমরা আর্থ-সামাজিকভাবেও সমৃদ্ধ হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, দেশের দারিদ্রতার হার কমিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, দারিদ্রতা নিরসন এসডিজি বাস্তবায়নের একটি বড় লক্ষ্যমাত্রা। ১৯৯১ সালে দারিদ্রতার হার প্রায় ৪৪ ভাগ ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সেই দারিদ্রতার হার কমে ২০ভাগের নিচে নেমে এসেছে।

কর্মশালায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জসিমউদ্দিন খান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ বখতিয়ার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারি। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার মার্দাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রিচার্ড বেল, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাউরেস এর সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক।

কর্মশালায় গবেষণা মূল্যায়নের আন্তর্জাতিক মানদন্ড এইচ-ইনডেক্সের উপর ভিত্তি করে ১৫ জন শিক্ষককে ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকোগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। এছাড়াও কর্মশালায় বিভিন্ন ভেন্যুতে দুই দিনে ১৫টি প্যারালাল টেকনিক্যাল সেশনে মোট ৩২৪টি মৌখিক ও ২১২টি পোস্টার সেশন অনুষ্ঠিত হবে। টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতিটি সেশন থেকে মোট ৬ জনকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হবে। এছাড়াও কৃষিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামার পর্যায়ের ৩জন কৃষককে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি পুরষ্কার-২০২০’ প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩৪৯ টি গবেষণা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছে বাউরেস। বর্তমানে এর ৫৩৬ টি গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ,কর্মচারীবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2252 times!