Saturday 20th of April 2024
Home / পোলট্রি / ব্রয়লার মুরগিতে বছরে খাদ্য সাশ্রয় ৩ হাজার কোটি টাকা!

ব্রয়লার মুরগিতে বছরে খাদ্য সাশ্রয় ৩ হাজার কোটি টাকা!

Published at নভেম্বর ১৬, ২০১৯

মো. খোরশেদ আলম (জুয়েল) :  এখন থেকে ২৫ বছর আগের হিসেবে বর্তমান সময়ের আধুনি ব্রয়লার মুরগি বছরে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার খাদ্য (ফিড) সাশ্রয় করে। বর্তমানে বছরে দেশে ব্রয়লার ফিডের চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন’ এমনটিই দাবী করেছেন ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা’র সাবেক সভাপতি এবং নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড –এর পরিচালক শামসুল আরেফীন খালেদ (অঞ্জন)। কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উক্ত তথ্য তুলে ধরেন।

ছবি: শামসুল আরেফীন খালেদ (অঞ্জন)

তিনি যুক্তি দেখান বর্তমানে বেশিরভাগ ব্রয়লার মুরগি ২৮-৩৩দিন পালন করা হয় এবং উক্ত সময়ে এগুলোর ওজন আসে ১.৬-১.৭ কেজি। এখন থেকে ২৫ বছর আগে উল্লেখিত ওজনে পৌঁছতে গেলে আরো বেশি দিন পালন করতে হতো এবং কমপক্ষে ৩০-৩৫ শতাংশ খাদ্য খরচ বেশি লাগতো। সে হিসেবে বর্তমানের ব্রয়লার মুরগিতে উক্ত ওজন আসতে খাদ্য যে পরিমাণ খাদ্য (ফিড) লাগতো তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ খাদ্য খরচ বাবদ বর্তমানের ব্রয়লার মুরগিতে বছরে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। তবে ব্রয়লার মুরগির আসল স্বাদ এবং নিরাপদ মাংসের জন্য কমপক্ষে ৪২ দিন পালন করা উচিত, বলে যোগ করেন তিনি।

শামসুল আরেফীন খালেদ বলেন, অনেকের ধারনা ব্রয়লার মুরগি জেনিটিক্যালী মোডিফায়েড (জিএমও)। কিন্তু এ ধারনা ভুল। ব্রয়লার বেশি মাংস উৎপাদনের জন্য কৃত্রিমভাবে নির্বাচিত (Artificially Selected) মুরগির একটি প্রকার। ব্রয়লার মুরগির বৃদ্ধি কেমন কতটা বৃদ্ধি হবে সেটা অনেকটা নির্ভর করে তার জাত এবং জ্বীনগত বৈশিষ্ট্যের ওপর। বর্তমানে সময়ে কমার্শিয়াল ব্রয়লার মুরগির উপযুক্ত ওজনে আসতে ৪-৭ সপ্তাহ সময় লাগে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু  পোলট্রি মুরগি খাওয়ার পরিমান ৬.২ কেজি। সেক্টর সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন ২০২৪ সনে এটির পরিমান দাড়াবে মাথাপিছু ১১.৫ কেজি এবং ২০২৫ সনে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছতে পারলে তখন সেটির পরিমান দাড়াবে ১২.৫ কেজি প্রতিজন।

বর্তমানে দেশে পোলট্রি শিল্পে ৩০ হাজার কোটি টাকার ওপরে বিনিয়োগ রয়েছে এবং ২০৫০ সনে সেটির পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করছে সংশ্লিষ্টগণ। বিপিআইসিসি’র ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যমতে, দেশে প্রতি বার্ষিক ফিডের চাহিদা ৬.৩-৬.৪ মিলিয়ন মেট্রিকটন।

This post has already been read 4205 times!