Friday 19th of April 2024
Home / পোলট্রি / খামারে ১০ প্লাস ১০ অত্যাবশকীয় জীবনিরাপত্তা কৌশল

খামারে ১০ প্লাস ১০ অত্যাবশকীয় জীবনিরাপত্তা কৌশল

Published at অক্টোবর ২৭, ২০১৯

ক্ষুদ্র ও মাঝারি লেয়ার খামারের অত্যাবশকীয় জীব নিরাপত্তা

নীতিগত ও ভৌত কাঠামোগত জীব নিরাপত্তা

  • খামারের আশেপাশে বা অন্তত একই বাড়িতে কোন হাঁস, মুরগি বা কবুতর পালন করা যাবেনা।
  • যানবাহন চলাচলকারী রাস্তা থেকে কমপক্ষে ২৫ মিটার (৮০ ফুট); বসতবাড়ি বা অন্য কোন খামার থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার (৩২৫ ফুট) এবং বাজার থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার (৬৫০ ফুট) দূরে খামার স্থাপন করতে হবে।
  • খামারের চারদিকে প্রতিরক্ষা বেড়া থাকতে হবে। খামারের প্রবেশপথে তালাসহ গেইট থাকতে হবে। কাটাতার বা নেটের বেড়া দেয়া হলে কমপক্ষে ০.৫ থেকে ১ মিটার (২-৩ ফুট) উঁচু ইটের দেয়ালের উপর স্থাপন করতে হবে।
  • খামারের প্রবেশপথ এবং শেডের মাঝে অন্তত ১৫ মিটার (৫০ ফুট) দূরত্ব থাকতে হবে।
  • শেড এবং শেডের ভেতরে খাঁচা উভয়েই পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা হতে হবে।
  • পাশাপাশি দুইটি শেডের মাঝে অন্তত ১২ মিটার (৪০ ফুট) ফাঁকা থাকতে হবে।
  • শেড এর কার্নিশ অন্তত ১মিটার (৩.৫ ফুট) বাড়তি থাকতে হবে।
  • শেড এর ভৌত কাঠামো যথাসম্ভব ইঁদুর ও পাখি প্রতিরোধী হতে হবে।
  • প্রতি শেডে ঢোকার প্রবেশপথে হাত-পা ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • খামারে আলাদা ফিড স্টোর থাকতে হবে যা যথাসম্ভব ইঁদুর ও পানি প্রতিরোধী হতে হবে। এছাড়া অসুস্থ মুরগি আলাদা করার জন্য নির্দিষ্ট শেড, মৃত মুরগি ফেলার জন্য কম্পোস্ট কূপ বা মাটিতে পুঁতে ফেলার জন্য নির্ধারিত স্থান থাকা বাঞ্ছনীয়।

দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনাগত জীবনিরাপত্তা

  • খামারের গেটে সর্বসাধারণের প্রবেশ লেখা থাকতে হবে এবং খামারে প্রবেশকারী বহিরাগতদের নাম-ঠিকানা ও প্রবেশের তারিখে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে।
  • গাড়ী ও ভ্যান গেইটের বাইরে পার্কিং করতে হবে।
  • প্রতিটি শেড এর জন্য আলাদা পোশাক, গামবুট/স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে।
  • প্রতিটি শেডে ঢোকা এবং বেরোবার সময় হাত-পা ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • শেড –এর আ্শেপাশে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
  • পানি ও খাবারের পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে।
  • ডিমের ট্রে প্রতিবার ব্যবহারের পরেও বা বাজার ঘুরে আসার পরে পানি ও জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
  • খাঁচা পদ্ধতিতে মুরগি পালন করার ক্ষেত্রে মেঝে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। মুরগির লিটার বায়োগ্যাস বা কম্পোস্ট সার তৈরিতে ব্যবহার করতে হবে।
  • নিয়মিত ইঁদুর নিধন কার্যক্রম চালাতে হবে।

অসুস্থ মুরগি দ্রুত আলাদা করতে হবে। মৃত মুরগি কম্পোস্ট কূপে ফেলতে হবে বা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।

সূত্র: প্যাথলজি বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

This post has already been read 2608 times!