মঙ্গলবার , অক্টোবর ২২ ২০২৪

ইলি‌শে ছড়াছড়ি চাঁদপুর মাছ ঘা‌ট: দাম ধরাছোঁয়ায় বাহিরে

মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। ইলিশের কথা আসলে একসাথে আসে চাঁদপুরের কথা। ইলিশ আর চাঁদপুর যেন একে অপরের পরিপূরক। তবে একথা সত্যি হলেও, অপ্রিয় সত্যি হলো এবার প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়লেও দাম একেবারেই কমছে না।

সাধারণ ক্রেতা, বিশেষত চাঁদপুরের মানুষেরই ধরাছোঁয়ায় বাহিরে থেকে যাচ্ছে ইলিশের বাজার মূল্য। ঠিক এমন মূল্যে ক্রেতামহল একেবারে হতাশ। যার ফলে, ইলিশ আহরণকৃত জেলা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ ইলিশ ক্রয় করতে পারছে না। স্থানীয়ভাবে মানুষ ইলিশ থেকে বঞ্চিত হলে বিভিন্ন জেলায় ঠিকই প্রতিদিন ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় ভাবে ইলিশের মূল্য বেশি কিন্তু রপ্তানির ক্ষেত্রে কম কেন? নাকি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন, এমন প্রশ্ন অনেকেরই।

লিশে ছড়াছড়ি এখন চাঁদপুর মাছ ঘাট। ইলিশ মাছ আহরনে নিষেধাজ্ঞার টানা ৬৫ দিন পর জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার নদীতে জেলেদের জালে ধরা পরছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ।

জেলেদের জালে লিশ ধরা পড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন এলাকার মাছ ঘাটে। ক্লান্তিহীন রিশ্রম রে যাচ্ছেন মাছ ঘাটের মৎস্যজীবীগণ। লোকাল বাজারে বিক্রির সাথে সাথে অন্যান্য জেলায় মাছ পাঠাতে ব্যস্ত মৎস্য ব্যবসায়ীগণ। দিনরাত মাছে বরফ লে তেজ রাখতে ব্যস্ত শ্রমীরা সাথে চলছে পেকেটজাত করার কাজ।

এদিকে, মহাজন বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে ঋণ নিয়ে জেলেরা মাছ ধরেন। মাছের দাম ভালো থাকলে ঋণ পরিশোধে বছর জেলেদের সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তারা। দেশের বিভিন্ন স্থানের জেলেরা দীর্ঘ অলস সময় কাটানোর পর এখন ইলিশ আহরণে ব্যস্ত।

গত ১২ অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কারণ সময়ে গভীর সাগর থেকে নদীর মোহনায় এসে ডিম দেয় মা ইলিশ।

অন্যান্য বছরের তুলনায় বছরের নিষেধাজ্ঞার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন ছিল। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৫ দিন ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার পুরো ৬৫ দিনই বেকার সময় পার করতে হয়েছে জেলেদের। জেলেদের দাবি ছিল ডিম দেয়ার সঠিক সময় নির্ধারণ করে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আগের মতো ২২ দিন করার।

জেলেরা বলছেন, বর্তমানে নদীতে জাল ফেললেই ইলিশ মাছ উঠছে। বিভিন্ন স্থানে নদী সাগরের মোহনায় গেলে একেকটি বড় জেলে ট্রলারে প্রতিদিন ১০০২০০ ইলিশ ধরা পড়ে যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। এভাবে মাছ ধরা পড়ায় মহাজন বিভিন্ন সূত্র থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে জেলেদের সমস্যা হবে না বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

This post has already been read 2998 times!

Check Also

ইতালিতে সম্মান সূচক পুরষ্কার পেলেন সিকৃবির ড. ইব্রাহিম খলিল

সিকৃবি সংবাদদাতা: সম্প্রতি ইতালির ইউনির্ভাসিটি অব উদিন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্নকারী সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য …