Sunday , May 18 2025

মুরগি আমিষ না নিরামিষ তা ঠিক করা উচিত – ভারতীয় এম.পি

শিবসেনা নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। ছবি: ইন্টারনেট।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুরগি ও ডিমকে নিরামিষ শ্রেণিভুক্ত করা হোক। এমনই দাবি তুললেন শিবসেনা নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। সোমবার সংসদে আলোচনার সময় এই দাবি তোলেন তিনি। সেই সময় আয়ুষ মন্ত্রকের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘‘মুরগি আমিষ না নিরামিষ তা ঠিক করা উচিত।’’

সংসদে সঞ্জয় জানান, তিনি একবার নান্দুরবারে গিয়েছিলেন। সেখানে জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকেরা খাবার পরিবেশন করছিলেন। তিনি তাঁদের প্রশ্ন করেন এটা কী? জবাবে তাঁরা বলেন, এটা আয়ুর্বেদিক মুরগি। তাঁরা এই মুরগিগুলোকে এমনভাবে প্রতিপালন করেছেন, যে তাদের মাংস খেলে সব রোগ দূর হয়ে যাবে।

ওই সাংসদ আরও দাবি করেন, চৌধরি চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাঁকে বলেছেন, তাঁরা আয়ুর্বেদিক ডিমের উপর গবেষণা করেছেন। সঞ্জয় রাউত আরও দাবি করেন, যে সব মুরগিকে শুধু আয়ুর্বেদিক খাবার খাওয়ানো হয়, তারা আয়ুর্বেদিক ডিম দেয়। ফলে নিরামিষভোজীরাও এগুলি খেতে পারবেন। প্রোটিনের চাহিদাও মিটবে।

প্রাচীন চিকিত্সা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদের উন্নয়নে এ দিন আরও বেশি করে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে রাজ্যসভায় আলোচনায় অংশ নেন সাংসদরা। দাবি ওঠে, আয়ুষ মন্ত্রকের জন্য অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হোক। এতে দেশের কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।

জনজাতিদের পরিবেশিত সেই মুরগির মাংস তিনি খেয়েছিলেন কিনা তা জানাননি সঞ্জয়। তবে তাঁর এই দাবির পর নেটিজেনরা কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ দাবি করছেন, শুধু মুরগি কেন, পাঁঠা বা গরুর মাংসকেও নিরামিষ তালিকাভুক্ত করা হোক।

This post has already been read 5783 times!

Check Also

খোলা বাজারে মুরগি জবাই ও বিক্রিতে বাড়ছে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

বাকৃবি সংবাদদাতা: স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ মাংস প্রাপ্তি মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা।  প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশের …