মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ৩ ২০২৪

জিডিপিতে কৃষির অবদান অনেক বেশি -কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা সংবাদদাতা: জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমে ৭০ ভাগ থেকে শতকরা ১৪ ভাগে নেমে এসেছে। জিডিপিতে কমলেও এখনো দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে কৃষিখাতের অবদান অনেক বেশি। সোনালি আঁশ ও সোনার বাংলা একে অপরের পরিপুরক। সোনালী আঁশের সম্ভাবনাতেই বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শিল্পায়ন হচ্ছে। জিডিপিতে বাড়ছে শিল্পের অবদান। এক সময় রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগই আসতো পাট, চা ও চামড়া থেকে। এখন রফতানি আয়ের বেশিরভাগই যোগান দেয় পোশাক শিল্প।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর সম্মেলন কক্ষে ‘পাট গবেষনার অর্জিত সাফল্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী উন্নত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে আরো বলেন, যে প্রযুক্তি এসেছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে অবশ্যই মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী করা যাবে। রফতানি বহুমুখীকরণেও কৃষিখাত বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, উদ্ভাবিত পাট পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণে বিশেষ তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দিয়ে একটি বড় কর্মশালা আয়োজন করা দরকার। এতে পাটজাত দ্রব্যের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাবে। আধুনিক ও বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে বিজেআরআইয়ের উদ্ভাবিত পাট পণ্যের দাম কমিয়ে রফতানিমুখী করতে পারলে পাটের সুদিন ফিরে আসবে।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর মান্নান এমপি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট’র (বিজেআরআই)মহাপরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান । স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিজেআরআইয়ের জেটিপিডিসি উইংয়ের পরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।

This post has already been read 5915 times!

Check Also

‘সারাদেশে পাটের প্রচলন বাড়াতে হবে – উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  ‘সারাদেশে পাটের প্রচলন বাড়াতে হবে। আগামী মাস থেকে দেশের সুপারশপগুলোতে পাটের ব্যাগ …