Saturday 20th of April 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / নওগাঁয় কলার মোচার রান্না প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ

নওগাঁয় কলার মোচার রান্না প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ

Published at ডিসেম্বর ২, ২০১৮

নওগাঁ সংবাদাতা: নওগাঁ কালীগ্রামের শাহ্ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও কৃষি জাদুঘরের আয়োজনে নিরাপদ খাদ্য রান্না প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় অত্র এলাকার ২৪ জন কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় একটি অতিসাধারণ, অবহেলিত সবজি কলার মোচা দিয়ে অসাধারণ বিভিন্ন স্বাদের পদ রান্না করা হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে তানিয়া খাতুন, দ্বিতীয় আশা খাতুন এবং তৃতীয় জোছনা খাতুন। প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন, রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালক তৌহিদ আরা। অংশগ্রহনকারী সকলেই পুরস্কার পেয়ে দারুন খুশি হন। প্রথম স্থান অধিকারকারী তানিয়া খাতুন বলেন, এরকম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জানতে পেরে আমি আনন্দিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ জাতীয় ব্যতিক্রমধর্মী নিরাপদ খাদ্য রান্না প্রতিযোগিতার বিষয়টি একটি প্রশংসনীয় উদ্দ্যোগ, যেটাতে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্দ্যোগ বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে দিতে পারলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত রান্না শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও কৃষি জাদুঘর -এর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ ড. মো. গোলাম মাওলা অধ্যক্ষ, শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল ও কলেজ রাজশাহী, আলহাজ মো. আব্দুস সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদ কামরুজ্জামান সরকারী কলেজ রাজশাহী, মো. আবুল হাশেম সহকারী প্রধান শিক্ষক রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল রাজশাহী ও মো. আকরাম হোসেন সহকারী প্রধান শিক্ষক রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল রাজশাহী, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইমতিয়াজ রোকন, তরিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, নাদিরা নাফিসা জাহান, শহিদুল ইসলাম, ফাহিমা ফারুক, আমজাদ হোসেন সুজিৎ কুমার প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ত্ব করেন, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. মোসা. নূরজাহান বেগম, সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, রন্ধন কলা মানব গোষ্ঠীর সংস্কৃতির অংশ তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতা, চর্চা, কর্মশালা এসবের আয়োজন করে গ্রামীণ কৃষাণি সমাজকে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করলে সুস্থ জীবনযাপনে বাংলার কৃষক সমাজ এগিয়ে যাবে।

This post has already been read 3053 times!