Thursday , September 18 2025

রসে ভরা আনারস

নাহিদ বিন রফিক: আনারস এক ধরনের গুচ্ছফল। রসে টইটম্বুর। দেখতে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় গন্ধ। খেতেও সুস্বাদু। আছে অনেক পুষ্টি। পুষ্টিবিদদের মতে, এর প্রতি ১০০ গ্রাম ফলে (আহারোপযোগী) ৬ দশমিক ২ গ্রাম শর্করা, ০ দশমিক ৯ গ্রাম আমিষ, ০ দশমিক ২ গ্রাম চর্বি, ১৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৮৩০ মাক্রোগ্রাম ক্যারোটিন, ০ দশমিক ১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-বি১, ০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন-বি২, ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ০ দশমিক ২ গ্রাম খনিজ পদার্থ এবং খাদ্যশক্তি আছে ৩০ কিলোক্যালরি।

আনারসে ঔষধিগুণও আছে বেশ। পাকা ফল শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে হৃদপিন্ড থাকে সুস্থ-সবল। নিয়মিত আনারস খেলে চোখের রেটিনা ভালো থাকে। আনারসে ব্যথানাশক উপাদান আছে। তাই ঠান্ডাজ্বর, গলাব্যথাসহ দেহের অন্য যে কোনো ব্যথা দূর করে। ক্যান্সার ও জন্ডিস রোগের উপকার হয়। দাঁত, হাড় ও চুলকে করে শক্তিশালী। দেহের ওজন কমায়, মুখে রুচি বাড়ায়। কৃমি, কফ, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের মৃতকোষ দূরীকরণে রাখে ভূমিকা। ব্রণ ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো কাজ করে।

আনারস প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা যায় জ্যাম, জেলি, জুস স্কোয়াশ, চাটনিসহ আরো খাবার। এছাড়া ভিনেগার এবং সাইট্রিক অ্যাসিড প্রস্তুতে ব্যবহার হয়। বাতজনিত রোগী এবং গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া নিষেধ। এক ধরনের কুসংস্কার আছে- দুধ ও আনারস এক সাথে খেলে পেটে বিষক্রিয়া হয় এবং মারা যায়। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের মতে, দুধে রয়েছে ‘ক্যাসিন’ নামক এক প্রকার উপাদান, যা অ্যাসিডিস পদার্থের সাথে মিশে ছানায় রূপান্তর হয়। আনারসসহ টক জাতীয় ফলের ক্ষেত্রে এটি হয়ে থাকে। কিন্তু কোনো বিষক্রিয়া নয়। তবে গ্যাস্ট্রিকজনিত রোগ এবং দুধ-আনারসে এলার্জি থাকলে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের খাওয়া যাবে না। বাকি সবাই ৪/৫ ঘন্টা আগে-পরে খেতে পারবেন।

This post has already been read 4814 times!

Check Also

খাদ্য ব্যবস্থায় ন্যায্যতা ও পুষ্টির জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ – খাদ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত UN Food System Summit (UNFSS+4)-এর একটি সাইড ইভেন্টে …