Thursday 25th of April 2024
Home / খাদ্য-পুষ্টি-স্বাস্থ্য / দক্ষ ও বুদ্ধিভিত্তিক জাতি গঠনে পুষ্টিমান উন্নয়ন অত্যাবশকীয়

দক্ষ ও বুদ্ধিভিত্তিক জাতি গঠনে পুষ্টিমান উন্নয়ন অত্যাবশকীয়

Published at মার্চ ৩১, ২০১৮

নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষ ও বুদ্ধিভিত্তিক জাতি গঠনে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিমান উন্নয়ন অত্যাবশকীয়। খাদ্যে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। সময় এসেছে এখন খাদ্যে পুষ্টিমান নিরুপণ করার। শনিবার (৩১মার্চ) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ এর সেচ ভবনে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর প্রধান কার্যালয়ে খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ক ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।

সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্প (বারটান অংগ) এর আওতায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৩২ জন কর্মকর্তাদের এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর নির্বাহী পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মাদ নজমুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বারটানের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কাজী আবুল কালাম ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল হান্নান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মাদ নজমুল ইসলাম বলেন, ষাটের দশকে বারডেম ও বারটান এক সাথে প্রতিষ্ঠিত হলেও বারটান বর্তমানে তার শৈশব পার করছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশব্যাপী পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি ও পুষ্টিমান উন্নয়নের গুরুত্ব উপলব্দি করে বারটানকে একটি অন্যতম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ভবিষ্যতে ডিপ্লোমা ডিগ্রি ও ক্রমান্বয়ে গ্রাজুয়েশন ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মোশারফ হোসেন বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমানভাবে উৎপাদন যোগ্য জমির পরিমাণ কমছে। খাদ্য চাহিদা পূরণে তাই উন্নততর প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে খাদ্যশস্যের উৎপাদন আশানুরুপ পর্যায়ে পোঁছেছে। তাছাড়া মাছ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। এখন খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে অধিক পুষ্টিমান সম্পন্ন ফল ও শাক-সবজি খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে বারটান বছর ব্যাপী সবজি ও ফল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করে চালের উপর নির্ভরতা কমিয়ে সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বারটান খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টির উপর গবেষণা ও ফলিত পুষ্টির উন্নয়নে এ পর্যন্ত ৫৪০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে যারা সারাদেশে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পুষ্টির স্তর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে’।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাজী আবুল কালাম বলেন, ৫ দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ২৪ টি সেসন থাকবে এবং বারডেমে দিনব্যাপী একটি সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বারটানের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এইচ এম জালাল উদ্দিন আকবর।

This post has already been read 2024 times!