Saturday , July 12 2025

বাংলাদেশে ভেড়া পালনের সম্ভাবনা

মো. আবদুল মালেক সরকার : আমাদের দেশে ভেড়া পালন খুবই সম্ভাবনাময়। কারণ পরিকল্পিতভাবে যদি ভেড়া পালন করা যায় তবে অতিরিক্ত কোনো খরচ হবে না। আর অল্প যতেœই ভেড়া দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ভেড়া দিনের বেলায় ফসলের খালি মাঠে, রাস্তার ধারে ফসলের বাগানে চরে, ছেড়ে বা বেঁধে পালন করা যায়। সকালে বা সন্ধ্যায় কোনো ক্ষেত্রে সামান্য কুঁড়া, ভুষি, চাল ভাঙ্গা বা ভাতের মাড় সরবারহ করা হয়। বিশেষত, খামারিগণ এককভাবে বা গরু/ছাগলের সাথে মিশ্রিতভাবে ২Ñ৬টি পর্যন্ত ভেড়া পালন করে থাকেন। ভেড়া পালন সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণাগার ভেড়া উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

ভেড়া পালনের গুরুত্ব
 ভোড়া থেকে এক সঙ্গে মাংস, দুধ ও উল পাওয়া যায়।
একটি ভেড়া মাংস ও দুধের পাশাপাশি বছরে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে পাঁচ কেজি উল প্রদান করে।
ভেড়া পালনের জন্য উন্নত বাসস্থানের প্রয়োজন হয় না।
ভেড়াকে গরু ও ছাগলের একই ঘরে লালন-পালন করা যায়।
ভেড়া নিজেরাই নিজেদের খাদ্য যোগাড় করতে পারে।
ভেড়া পালনের প্রারম্ভিক অর্থ কম লাগে।
ভেড়া দ্রুত সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় (একসঙ্গে ৩ থেকে ৪টি বাচ্চা দেয়)।
এরা দলবদ্ধ হয়ে চরে খায়। তাই অতিরিক্ত কর্মচারির প্রয়োজন হয় না।
ভেড়া দলবদ্ধ প্রাণি হওয়ায় একটি বা দুটি ভেড়া চুরি বা হারানোর সম্ভাবনা কম থাকে।
গরু ও ছাগল যেসব খাবার খায় না, ভেড়া সহজেই সেসব খাবার খায়।
ভেড়া অল্প পরিমাণ খেয়ে বেশি পরিমাণ মাংস ও উল প্রদান করে।
ভেড়ার মাংস সব সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য।
ভেড়া আগাছা খেয়ে জমির উপকার করে।
ভেড়া নিচু পানিতে থাকা ঘাস চরে খেতে পারে। অন্যদিকে ছাগল নিচু জমিতে চরতে চায় না।
ভেড়ার রোগব্যাধি তুলনামূলকভাবে অন্যান্য গবাদিপশুর চেয়ে কম।

লেখক: শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্স বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

This post has already been read 5551 times!

Check Also

গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে সময়মতো ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে সময়মতো ভ্যাকসিন প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা …