শনিবার , জুলাই ২৭ ২০২৪

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গলদা ও রুইয়ের সাথে মলা মাছ চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন

ফকির শহিদুল ইসলাম(খুলনা):
ঘের বা পুকুরে মিশ্র সার ব্যবহার করে গলদা ও রুই জাতীয় মাছের সাথে ছোট জাতের মলা মাছ চাষে হেক্টরপ্রতি এক লাখ টাকা অতিরিক্ত আয় সম্ভব। মলা মাছ চাষে পরিবারের আমিষের চাহিদাসহ অতি প্রয়োজনীয় চারটি ভিটামিন ও খনিজ পূরণও সম্ভব। এমনই এক নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কথা জানালেন গবেষকরা। ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘেরে গলদা চিংড়ি ও কার্পের সাথে পুষ্টিসমৃদ্ধ ছোট মাছ ও সবজির সমন্বিত চাষ’ শীর্ষক তিনবছরব্যাপী পরিচালিত এক গবেষণা-সমীক্ষার কাজ শেষে (২১ডিসেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত উক্ত গবেষণার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান স্কুলের কনফারেন্স রুমে ফিসারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি বিভাগের (এফএমআরটি) তত্বাবধানে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ঘেরে গলদা চিংড়ি ও কার্পের সাথে পুষ্টি সমৃদ্ধ ছোটমাছ ও সবজির সমন্বিত চাষ শীর্ষক অনুষ্ঠিত কর্মশালায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক নিত্য রঞ্জন বিশ্বাস। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একোয়াফিস ইনোভেশন ল্যাবের বাংলাদেশ প্রধান প্রফেসর ড. শাহরোজ মাহিন হক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ের প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এফএমআরটি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. গাউছিয়াতুর রেজা বানু।

উক্ত কর্মশালায় মৎস ও কৃষি অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনিস্টিটিউট, এসআরডিআইসহ দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিস, উইনরক, সুশীলন, সোলিডারিজড এর কর্মকর্তা, গবেষক এবং মৎস চাষীরা উপস্থিত ছিলেন। গবেষণা ফলাফল উপাস্থাপন করেন খুবির প্রফেসর ড. খন্দকার আনিছুল হক, সহকারী অধ্যাপক শিকদার সাইফুল ইসলাম এবং প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম। প্রকল্পটির সহকারী গবেষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াসিম সাব্বির ও জয়ন্ত বীর।

গবেষকরা চিংড়ি ঘেরে ছোটমাছ মলা ও ঘেরের পাড়ে সবজি চাষের পদ্ধতি, উৎপাদন ও গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। তাদের গবেষণা ফলাফলে দেখা যায় চিংড়ি ঘেরে গলদা ও রুই মাছের সাথে ছোট মাছ ও সবজি চাষের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পারিবারিক আয় বাড়ানো সম্ভব। উল্লেখ্য, মলা মাছে প্রচুর ভিটামিন এ, আয়রণ, জিংক ও ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে যা রাতকানা রোগসহ রক্তশূণ্যতা, ত্বকের ক্ষত ও রিকেট্স রোগের প্রতিরোধক। একোয়া ফিস ইনোভেশন ল্যাব ও ইউএসআইডি এর অর্থায়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

 

This post has already been read 5018 times!

Check Also

আগামীকাল থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের …