শনিবার , জুলাই ২৭ ২০২৪

সারাদেশে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ ছড়িয়ে দিতে হবে -রণজিত কুমার পাল

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা):
মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক রণজিত কুমার পাল বলেছেন, ভালো পরিবেশে ভালো পোনা চাষ করতে পারলে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, দেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে খুলনা বিভাগ মৎস্য সেক্টরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে খুলনাঞ্চল থেকেই বেশির ভাগ চিংড়ি উৎপাদন এবং রপ্তানী হয়ে থাকে।

তিনি চিংড়ি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশ্যে বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করেন। এতে একদিকে মাছের গুণগত মান নষ্ট হয়, অন্যদিকে বিদেশেও বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে নপলী ও পিএল আনা হলে তা রোগাক্রান্ত হয়ে মৎস্য সেক্টরকে ধংস করে দেয়। তিনি ভালো বীজ চাষ করে ভালো ফলনের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। দেশের সর্বত্রই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে আবারও মৎস্য সম্পদ রপ্তানী শীর্ষ স্থানে আনা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

রবিবার (২৪ ডিসেম্বের) নগরীর শ্রিম্প টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘পুকুরে মাছ চাষে উন্নয়ন’ বিষয়ক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মৎস্য বিভাগ খুলনার সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারী প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি) ও ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ফোয়াব)’র যৌথ অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মশালায় মৎস্য চাষের সাথে সম্পৃক্ত ৫০ জন ঘের মালিক, চাষী ও উদ্যোক্তা অংশ গ্রহণ করেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ফোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান শাহীন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম হায়দার, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আব্দুল বাকি এবং চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল ইসলাম।

কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এফপিবিপিসি’র প্রোগ্রাম নির্বাহী পলাশ কুমার ঘোষ, খুলনা পোল্ট্রি ও ফিশ ফিড মালিক সমিতির মহাসচিব এসএম সোহরাব হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল হালিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ জলিল, ফোয়াবের সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিল হোসেন, সাফায়েত হোসেন শাওন, লস্কর মনিরুজ্জামান, ময়েজউদ্দিন চুন্নু, সাইফুল ইসলাম খান কামাল ও এমডি নাসরুল্লা হীরা, বিজয় কুমার দে মিঠু, গোবিন্দ রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুহাম্মদ নূরুজ্জামান।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন মৎস্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় দপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক মনিষ কুমার মন্ডল, তেরখাদার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি.এম সেলিম, ডুমুরিয়া উপজেলা খামার ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান। কর্মশালা শেষে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক পুকুরে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

This post has already been read 3314 times!

Check Also

আগামীকাল থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের …