Thursday 25th of April 2024
Home / পোলট্রি / গাজীপুরে অবৈধ ফিডমিলে অভিযান

গাজীপুরে অবৈধ ফিডমিলে অভিযান

Published at নভেম্বর ২২, ২০১৭

মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন ২০১০ বাস্তবায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটি গত ১৫ নভেম্বর, ২০১৭ গাজীপুরের কাশিমপুরে বিভিন্ন ফিড মিল পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে উক্ত কমিটি দেখতে পান সুপ্রীম এগ্রো ফিডস লিঃ এ অবৈধভাবে বেঙ্গল ফিড, প্রাইম ফিড, ইউনিয়ন ফিড, এগ্রোটেক ফিড এবং বাংলাদেশ ফিড কোম্পানির ফিড উৎপাদন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ‘ইউনিয়ন ফিড’ এর সরকারি নিবন্ধন আছে কিন্তু ফিআব এর নিবন্ধন নেই। ‘এগ্রোটেক ফিড’ এর সরকারি নিবন্ধন আছে পাশাপাশি ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব) এর নিবন্ধনও রয়েছে। মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন ২০১০ অমান্য করে অবৈধভাবে ফিড তৈরি করার অপরাধে সুপ্রীম এগ্রো ফিডস লি. কে তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করা হয়। এছাড়াও কমিটি আমার দেশ এগ্রো লিঃ পরিদর্শন করেন। দেখা যায় যে, গত জানুয়ারি থেকে এই কোম্পানি পোল্ট্রি ফিড বাজারজাতকরণের কাজ শুরু করে। কিন্তু তাদের সরকারি নিবন্ধন এবং ফিআব এর নিবন্ধন নেই। মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন ২০১০ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে নিবন্ধনবিহীন অবস্থায় ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের অপরাধে ফিডমিলটি সিলগালা করা হয়।

উক্ত কমিটি গ্রাম বাংলা পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিড লি. ও প্যারাডাইস সান কোম্পানি লি. পরিদর্শন করেন। এই দুটি ফিড মিলের সরকারি নিবন্ধনের পাশাপাশি ফিআব এর নিবন্ধন রয়েছে। কমিটি উক্ত ফিডমিল দুটিকে ফিডের মান এবং পরিবেশ উন্নয়নের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়াও গত ১৬ নভেম্বর গাজীপুরে সদর উপজেলার কাশিমপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। বিজ্ঞ আদালত সুপ্রীম এগ্রো ফিডস লিঃ এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে উক্ত কোম্পানি কর্তৃক মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন ২০১০ অমান্য করে বেঙ্গল ফিড, প্রাইম ফিড, ইউনিয়ন ফিড, এগ্রোটেক ফিড এবং বাংলাদেশ ফিড কোম্পানির ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের প্রমাণ পান। ভ্রাম্যমান আদালত এই অপরাধে অবৈধ ফিড কোম্পানিগুলোকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও সুপ্রীম এগ্রো ফিডস লি. এ প্রাপ্ত ৩৩ হাজার কেজি ভেজাল পোল্ট্রি ফিড পুড়িয়ে দেয়।

পরবর্তীতে গত ২০ নভেম্বর কাশিমপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। বিজ্ঞ আদালত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে আমার দেশ এগ্রো লি. এ দেখতে পান যে, মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন ২০১০ আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ভেজাল ফিড উৎপাদন করছে। উক্ত কোম্পানিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং কারখানায় প্রাপ্ত ৬২ হাজার কেজি ভেজাল ফিড পুড়িয়ে দেন।

কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায় যে, প্রতিমাসেই এ ধরনের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোন ফিডমিলকে মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন ২০১০ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে মৎস্য ও পশুখাদ্য উৎপাদন করতে দেয়া হবে না। অবৈধ ফিডমিলকে কোনভাবে ফিড উৎপাদন এবং বিপণন করতে দেয়া হবে না, করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

This post has already been read 10914 times!