Monday 29th of May 2023
Home / অন্যান্য / বাকৃবিতে হলের কক্ষে বৃষ্টির পানি

বাকৃবিতে হলের কক্ষে বৃষ্টির পানি

Published at সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭

বিপাকে নিচতলার বাসিন্দারা

মো. আরিফুল ইসলাম, বাকৃবি:Agri-Varsity Rain Water Problem News Pic-2
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আবাসিক হলের নিচতলার কক্ষগুলোতে আবারো বৃষ্টির পানি ঢুকে গেছে। গত শুক্রবার ও শনিবারের গুড়িগুড়ি বর্ষণে বেশ কয়েকটি হলের কক্ষে পানি প্রবেশ করে। এতে বিপাকে পড়ে হলের নিচতলার বাসিন্দারা। হলের ভেতরের পানি নিষ্কাশন ড্রেন অগভীর, সরু ও ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এর আগেও গত জুনে ভারী বর্ষণে হলের কক্ষে পানি ঢুকলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আবারো তাদের দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হলের আবাসিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, গত শুক্রবার ও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদিনের টানা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শনিবার বিকেলের দিকে কিছুটা ভারী বর্ষণে রুপ নেয়। এর ফলে শাহজালাল হল, শহীদ শামসুল হক হলের নিচতলার প্রতিটি কক্ষে এবং ওই হলগুলোর ডাইনিং, ক্যান্টিনেও পানি ঢুকে যায়। পানিতে এশাকার হয়ে যায় হলের করিডোর গুলোও। পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সংযোগ সড়ক। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক এলাকার কোয়ার্টারের নিচতলার বাসিন্দারাও টানা বর্ষণের কারণে বিপাকে পড়েছেন। তাঁদের অনেকের বাসায় পানি প্রবেশ করে বলে জানিয়েছেন।

শাহজালাল হল ও শহীদ শামসুল হক হলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জরাজীর্ণ দশার কারণেই হলের কক্ষে পানি ঢুকেছে। গত জুনে ভারী বর্ষণেও আমাদের কক্ষে পানি ঢুকেছিল। কিন্তু হল ও বিশ্বাবদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে কখনোই কিছু ভাবেন না। ভুক্তভোগীরা নিজেদের কক্ষ ছেড়ে উপরতলায় আশ্রয় নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ড্রেনগুলো প্রশস্ত ও গভীর করে খনন করে এ সমস্যা সমাধানের দাবি করেছেন।Agri-Varsity Rain Water Problem News Pic-3

শাহজালাল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. গোপাল দাস বলেন, হলটি অনেক পুরাতন এবং হলের নিচতলার ফ্লোর অনেক নিচু। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরা থাকায় পানি দ্রুত বের হতে পারে না। সামনে হল সংস্কার কাজে ড্রেনেজ সিস্টেমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শহীদ শামসুল হক হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. রমিজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের কক্ষের দরজায় কাদা দিয়ে আইল করে দিতে হলের কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছি। হলের বাইরের ড্রেন গুলো দিয়ে পানি বের হতে সময় লাগছে বলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

This post has already been read 2100 times!