Thursday , July 10 2025

রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের লালমাটিতে চাষ হচ্ছে ত্বীন ফল

মো: আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : ত্বীন ফল, মিশরীয় ডুমুর ফল ও আঞ্জির ফল। এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের ৯৫ নং সূরা আৎ ত্বীন এ মহান আল্লাহ তালা এ ফলের শপথ করেছেন। এই ফলের চাষ এখন রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলখ্যাত গোদাগাড়ী উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে চাষ হচ্ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায়, গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষিতে এনেছে বৈচিত্র । কারণ এই অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর দিনে দিনে নেমে যাচ্ছে । তাই চাষাবাদে খরাসহিষ্ণু ফসলের তালিকায় এবার রাজশাহীতে যোগ হয়েছে মিশরের ‘ত্বীন’ ফল।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকার বলেন, এই ফল চাষ করতে বেলে দো-আঁশ মাটি অত্যন্ত উপযোগী। কিন্তু গোদাগাড়ীর মাটি আঠালো হওয়ায় এখানে ভিন্ন পদ্ধতিতে চাষ করতে হয়। অক্টোবর নভেম্বর মাসের দিকে এর চারা রোপন করা ভাল। গাছের গোড়ায় কোনভাবেই পানি জমতে দেয়া যাবেনা। কারন এই ফল গাছ পানি সহ্য করতে পারেনা। ত্বীন গাছে প্রকাশ্যে ফুল লক্ষ্য করা যায় না। সরাসরী ডুমুরের মত ফল আসে। এই ফল গাছ রোপনের ছয় মাস পর থেকে ফল আসা শুরু হয়। আর একটানা ৩৫ বছর পর্যন্ত এর ফল উত্তোলন করা যায়। এই গাছে তেমন কোন রোগ- বালাই হয় না।

গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, খাদ্যমান বা পুষ্টিগুণের জন্য এ ফল পৃথিবী বিখ্যাত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ, সি, কে এবং ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, কপার ও আয়রন। এই ফল ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ, হাঁপানী রোগ, শ্বাসকষ্ট, ত্বক সমস্যা ও চুলের রোগ সারাতে সবচেয়ে বেশী কার্যকরী। গাছটি সারা বছর অনবরত ফল দিতে থাকে। এ ফলের ভিতরেই থাকে এর ফুল । বিধায় এরমধ্যে থাকে উন্নত মানের মধু ও অন্যান্য খাদ্যগুণ যা সুস্বাস্থ্যের জন্য জাদুকরী ভাবে কাজ করে। এটি অত্যন্ত উচ্চ মূল্যের ফল এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, কৃষি বিভাগ হতে বরেন্দ্র অঞ্চলে ব্যাপকভাবে এর চাষ করার জন্য সহযোগীতা ও পরামর্শ দেয়া হবে এবং শিক্ষিত বেকার যুবকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

This post has already been read 4516 times!

Check Also

বারিতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শীর্ষক কর্মশালা

গাজীপুর সংবাদদাতা: প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর উদ্যোগে সোমবার (৩০ …