আসাদুল্লাহ (ফরিদপুর) : বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কেন্দ্র ফরিদপুরের আয়োজনে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চল ফরিদপুরের সহযোগিতায়।বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল পাট ও পাট জাতীয় ফসলের পরিচিতি, জনপ্রিয়করণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (০৩ আগস্ট) ব্রাক লানিং সেন্টার ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর পরিচালক, মো. মোসলেম উদ্দিন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন (বিজেআরআই) এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এটিএম মোরশেদ আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন – (বিজেআরআই) এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. নজরুল ইসলাম এবং মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মো. গোলাম মোস্তফা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন- পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ফরিদপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রের, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মো. মজিবর রহমান।
বাংলাদেশ পাট চাষী সভাপতি এবং কৃষক প্রতিনিধির পক্ষে আক্কাস আলী বলেন (বিজেআরআই তুষাপাট-৯) বা সবুজ সোনা পাটের জাতটি চাষের উপযোগী। অন্যান্য পাট জাতের চেয়ে এটি উচ্চতায় বেশি হয়। পানিতে মারা যায় না এবং আঁশ বেশি হয়ে থাকে। মাঠে এই পাটের জাতটি চাষ করতে কৃষক খুবই আগ্রহী এবং দ্রুত সম্প্রসারিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন- সোনালী আঁশে ভরপুর ভালোবাসি ফরিদপুর। ফরিদপুরের মাটি পাট চাষের জন্য উপযোগী। ফরিদপুরে দেশের ৩ভাগের ১ভাগ পাট উৎপাদন হয়। যার বেশিরভাগ জাত ব্যবহার হয় ইন্ডিয়ান (জেআরও ৫২৪) বর্তমান পাট গবেষণার উদ্ভাবিত (বিজেআরআই তুষাপাট-৯) বা সবুজ সোনা নামে পরিচিত এই জাতটি উচ্চতায় অন্য জাতের চেয়ে বেশি বড়। জলাবদ্ধ আবস্থায় মারা যায় না এবং ১০০থেকে ১১০ দিনের মধ্যে হারভেস্ট করা যায়। মাঠে এই জাতটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জাতটির সম্প্রসারণের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা, কৃষক প্রতিনিধিসহ শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।