ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): স্থলজ, জলজ প্রাণি জীববৈচিত্র ও অন্যান্য ইকো সিস্টেম সুন্দরবনকে বছরের পর বছর সমৃদ্ধ করেছে। প্রকৃতির অপূর্ব লীলাভূমি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক নিদর্শন ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ করতে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন ৫২টি ইউনিয়নকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় বায়ূ ও পানি দূষণমুক্ত করতে ক্ষতিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে পরিবেশের ছাড়পত্র না দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের ওপর চাপ কমাতে পরিবেশ অধিদপ্তর ১১ দফা সুপারিশমালা তৈরি করেছে। সম্প্রতি খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর প্রকাশনায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশনার প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহত্তর খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার ৭ লাখ ৬২ হাজার…
Author: Jewel 007
মো. খোরশেদ আলম জুয়েল : ডিম-ই একমাত্র খাদ্য যেটিতে সর্বোচ্চমানের প্রোটিন বিদ্যমান। ডিমের প্রোটিন আপনার মাংসপেশী গঠনে যেমন সহায়তা করবে তেমনি মাংসপেশী কমাতে বাধা দেবে। ভয় পাবেন না; মাংসপেশী বৃদ্ধি মানেই কিন্তু মুটিয়ে যাওয়া নয়। ডিমে বিদ্যমান কোলাইন কোষের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে, বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে। এটি ব্রেইন ও নার্ভের কার্যকলাপ সক্রিয় রাখা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে পুষ্টি যাতায়াত ব্যবস্থাকে তরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কোলাইন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং শিশুর জন্মগত ক্রটি সারাতে সাহায়তা করে। ডিমে বিদ্যমান ফলিক এসিড গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা বাচ্চাদের নার্ভ সম্পর্কিত সমস্যা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। একজন মানুষের সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয়…
ডেস্ক রিপোর্ট : পান খেয়ে ঠোঁট লাল করার যুগ হয়তো এখন আর নেই, কিন্তু পান এর কদর কিন্তু দিনদিন বাড়ছে বই কমছে না। আগে যে পান নানি-দাদির মুখে শোভা পেত এখন তা অনেকেই চেখে দেখছেন শখ করে। পানের অন্যতম একটি অনুসঙ্গ হচ্ছে সুপারি। কেউ কেউ আবার কাঁচা সুপারি শখ করেও খেয়ে থাকেন। তবে সুপারি সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা এজেন্সী সংক্ষেপে যেটি আইএআরসি নামে পরিচিত। সংস্থাটি’র মতে সুপারি ও পান এক ধরনের কার্সিনোজেন (বিষ) যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুপারি সহ পান খেলে মুখের ক্যন্সার হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সুপারি দিয়ে পান খেলে মুখের ক্যান্সারের ঝুকি ৯.৯…
কৃষিবিদ ড. এমএ মজিদ মণ্ডল: বাংলাদেশে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে আমড়ার স্থান অন্যতম। এর বহুমুখি ব্যবহারের জন্য সবার কাছে সমাদৃত। আমড়ার দেশি ও বিলাতি দু’ রকম জাতের মধ্যে দেশি আমড়ার জন্মস্থান বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে, আসাম ও বার্মায়। বিলাতি আমড়ার জন্মস্থান ওটেহাইট ও ফ্রেগুলি দ্বীপপুঞ্জে বলে বিঞ্জানিদের ধারণা। দেশি আমড়ার (টক ও বীজ বড়) চাষ ধীরে ধীরে কমছে এবং বিলাতি আমড়ার (মিষ্টি ও বীজ ছোট) চাষ বাড়ছে। বাংলাদেশে সরকারিভাবে তেমন কোনো উদ্যোগ না নেয়া হলেও ব্যক্তি পর্যায়ে ছোট ছোট বাগান আকারে দেখা যাচ্ছে। উদ্ভিদতত্ত্ব আমড়া গাছ সাধারণত মাঝারি থেকে বড় আকারের হয় এবং পত্রমোচী বৃক্ষ। গাছ সাধারণত বেশ উঁচু প্রায় ১০-১২ মিটার…
মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হবে। গত ২৯ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ১২ দিনের ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ১৩টি হল গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খোলার পর গত শুক্রবার থেকে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবারো মুখরিত হয়ে উঠছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে কুশল ও…
ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): খুলনা মহানগরীর রূপসা নতুন বাজার এলাকায় ৪টি মাছ ডিপোতে অভিযান চালিয়ে ওজন বাড়ানোর লক্ষ্যে জেলী পুশকৃত ৭০০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। চিংড়িতে অপদ্রব পুশ করার অভিযোগে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত ৭০০ কেজি চিংড়ি রূপসা নদীতে ফেলে দিয়ে বিনষ্ট করা হয়। এছাড়া পুশের জন্য রাখা প্রায় ১ হাজার কেজি চিংড়ি উদ্ধার করে বিভিন্ন এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটা থেকে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। র্যাব-৬, খুলনা জেলা প্রশাসন ও মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তর সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অসাধু চক্র চিংড়িতে…
ডা. এ এইচ এম সাইদুল হক : দুগ্ধ খামারের নবজাতক বাছুর সাধারণত যে ক’টি রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে অকালে মারা যায় তার মধ্যে নাভিপচা রোগ অন্যতম। সাধারণত নবজাতক বাছুরের নাভি এবং নাভির চারিপার্শ্বের অংশের প্রদাহ ও সংক্রমণকে নাভির রোগ (Navel ill) বলে। বাছুরের নাভি বা আমবিলিক্যাল কর্ড গঠিত হয় এমনিয়োটিক মেমব্রেন, আমবিলিক্যাল শিরা, আমবিলিক্যাল ধমনী ও ইউরেকাস দ্বারা। জন্মের সময় নাভি বা আমবিলিক্যাল কর্ড ছিঁড়ে যায়। এ সময়ে আমবিলিক্যাল শিরা ও ইউরেকাস বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু বাকি অন্যান্য অংশগুলো পারিপার্শ্বিক বস্তুর সংস্পর্শে আসে। এর ফলে নাভিতে সংক্রমণ ঘটে থাকে। এমনকি এ সংক্রমণ মূত্রথলি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়ে মূত্রথলির প্রদাহ হয়ে থাকে।…
শফিকুল ইসলাম : চলতি বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রায় এক কোটি টাকা প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রণোদনার টাকার মধ্যে কলার ভেলায় ভাসমান বীজতলা তৈরি, নাবী জাতের রোপা আমন ধানের বীজ বিতরণ ও বীজতলা তৈরি, চারা উত্তোলন ও বিতরণ করা হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ প্রতিবেদককে এতথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী রোববার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রণোদনার ঘোষণা দেবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের পুনর্বাসনে ৯০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা দিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ অর্থের মাধ্যমে কলার ভেলায় ভাসমান বীজতলা তৈরি, নাবী জাতের রোপা আমন ধানের…
কৃষিবিদ এমএ মজিদ : প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে বীজ থেকে আমের বংশ বিস্তার হয়ে আসছে। এ পদ্বতিতে বংশ বিস্তারের সুবিধা হলো খরচ কম, দক্ষতার প্রয়োজন হয় না এবং গাছগুলো বড় ও সুদৃঢ় হয়। কিন্তু বীজ থেকে উপাদন করা গাছ পুরোপুরি বংশ বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে না। অর্থাৎ একটি ভালো আমের বীজ থেকে আর একটি আমের গাছ হলে তা সেটি থেকে খারাপ বা অধিক ভালো হতে পারে। এক্ষেত্রে একটি গাছ থেকে কলম করলে তার সম্পূর্ণ গুণাবলি বজায় থাকে। বিভিন্ন পদ্বতিতে আম গাছের কলম করা হয়। যে চারাটিতে কলম করা হয় তাকে বলে “রুট স্টক বা মূলাধার”। আর যে ভালো জাতের গাছের ডাল জোড়া…
ডা. এ এইচ এম সাইদুল হক: দুগ্ধ খামারের নবজাতক বাছুর সাধারণত যে ক’টি রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে অকালে মারা যায় তার মধ্যে সাদা পায়খানা অন্যতম। এ জন্য রোগটিকে বাছুরের ঘাতকব্যাধি বলা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের গবাদিপশুর নবজাতক বাচ্চায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে গরু ও ছাগলের বাচ্চায় এ রোগটি বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে ১-২১ দিন বয়সের নবজাতক বাছুর/বাচ্চার জন্য রোগটি খুবই মারাত্মক। প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে আমাদের দেশে অনেক বাছুর অকালে মারা যায়। বাছুরের অকাল মৃত্যু যেহেতু খামারি ও দেশের জন্য ক্ষতিকর সেজন্য রোগটির বিষয়ে খামারিদের সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন যাতে তারা যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ…